বর্ধমানঃ গ্রামের যুবকের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল স্কুল পড়ুয়া নাবালিকা। তার মাশুল তাকে দিতে হল জীবন দিয়ে। মহালয়ার আগের দিন রাতে বাড়ির অদূরে পুকুর পাড়ে উদ্ধার হল নাবালিকার নিথর দেহ। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আঝাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শালমূলা গ্রামে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে জামালপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মেয়ের আর্ত চিৎকারের শব্দ কানে আসে শালমূলা গ্রামের বাসিন্দা গোপাল দাসের। এরপরই তিনি মেয়ের খোঁজ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পরই বাড়ির অদূরে পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখেন পড়ে রয়েছে তাঁর মেয়ে বর্ণালীর নিথর দেহ। বর্ণালী স্থানীয় এক স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। নাবালিকার বাবার অভিযোগ, অরিত্র মণ্ডল ওরফে বিট্টু নামে এক যুবকের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল তাঁর মেয়ে বর্ণালী। তারপর থেকেই মেয়েকে হুমকি শাসানি দিত বিট্টু। প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার বদলা নিতেই শ্বাস রোধ করে বর্ণালিকে হত্যা করেছে বিট্টু বলেও অভিযোগ মৃতার বাবার।
এই ঘটনায় মেয়ের মৃত্যুর জন্য অরিত্র ওরফে বিট্টুকে দায়ী করে জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা গোপাল দাস। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত অরিত্র ওরফে বিট্টুকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের কঠোর সাজার দাবি জানিয়েছেন মৃতার পরিবার। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এদিকে, পুজো উপলক্ষে বর্ণালীর জন্য নতুন জামা কাপড় কেনা হয়ে গিয়েছিল। পুজোর চারটে দিন পরিবারের সবার সঙ্গে তার বিভিন্ন জায়গায় দুর্গা ঠাকুর দেখতে যাওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু তা আর হয়ে উঠল না! দেবীপক্ষ শুরুর আগেই মেয়ের জীবনটা শেষ হয়ে গেল। এই আক্ষেপ প্রকাশ করে এখন শুধুই চোখের জল ফেলে চলেছেন ছাত্রী বর্ণালীর মা ও জেঠিমা।