উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট বেলা থেকেই দিদা, ঠাকুমারা বলতেন ব্রাহ্মী শাক খেলেই নাকি বুদ্ধি বাড়ে। তাই বিদ্যাবুদ্ধি, স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ব্রাহ্মী শাক খাওয়ানো হয়। তবে ব্রাহ্মীশাক সম্পর্কে এই ধারণার কি আদৌ কোনও বিজ্ঞানভিত্তি রয়েছে নাকি গোটা বিষয়টাই কুযুক্তি? জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত…
প্রায় সব শাক, সবজিতেই রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খনি। আর এই তালিকায় ব্রাহ্মীর স্থান যথেষ্ঠ উপরের দিকেই রয়েছে। পুষ্টিবিদদের কথায়, এই শাক অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারের খনি। আর এইসব উপাদান কিন্তু একধিক রোগবিরেতের ফাঁদ থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে ব্রাহ্মীশাক খাওয়া যেতেই পারে।
মস্তিষ্কের উপর ব্রাহ্মীর যথেষ্ঠ কার্যকারিতা রয়েছে। একাধিক গবেষণায় এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে যে ব্রেনের কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারে ব্রাহ্মী। এমনকী এই শাক খেলে কোনও বিষয়ে মনোযোগ করার ক্ষমতাও বাড়ে। শুধু তাই নয়, দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠার মতো সমস্যা দূর করার কাজেও এই শাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
এই শাকে মজুত ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার একত্রিত হয়ে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে। তাই নিয়মিত এই শাক খেলে যে জ্বর, সর্দি, কাশি সহ একাধিক সংক্রামক অসুখের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে।
এছাড়া অনিদ্রা বা ইনসোমনিয়ার মতো সমস্যাকে কাবু করার কাজেও এই শাকের জুড়ি মেলা ভার। ব্লাড প্রেশারের মতো ঘাতক অসুখকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজেও কিন্তু ব্রাহ্মীর জুড়ি মেলা ভার। তাই হাইপারটেনশনে আক্রান্ত রোগীর ডায়েটে এই শাক থাকাটা মাস্ট। সেই সঙ্গে এই শাকে ভরপুর পরিমাণে মজুত রয়েছে অ্যান্টিক্যানসারাস উপাদান। ফলে ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী অসুখ থেকে দূরত্ব বজায় রাখার জন্যও নিয়মিত ব্রাহ্মী খেতেই পারেন।