উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: জলের তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে প্রায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাতেই ডলফিনদের থাকা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। গত সাতদিনে টেফে হ্রদের জলে ভেসে উঠেছে প্রায় ১০০টি ডলফিনের দেহ। ভয়ঙ্কর এই ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মামিরাউয়া ইনস্টিটিউট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সেই রিপোর্টের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে ব্রাজিলিয়ান মিনিস্ট্রি অফ সায়েন্স। ওই প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, বিপুল সংখ্যায় ডলফিনের মৃত্যু অত্যন্ত অস্বাভাবিক। তা জীববৈচিত্র্যের পক্ষে যথেষ্ট আশঙ্কাজনক।
ব্রাজিলের অ্যামাজন জঙ্গল যা পৃথিবীর ফুসফুস হিসেবে পরিচিত। সেই জঙ্গলেই রয়েছে টেফে হ্রদ। সেই হ্রদের জলেই ভেসে উঠেছে শ’য়ে শ’য়ে ডলফিনের দেহ। একেতে জলে তাপমাত্রার পরিমান ক্রমশ বাড়ছে, আবার খরাও দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, ডলফিনগুলির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও তদন্তসাপেক্ষ। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিষয়টি অবশ্যই দেশের সাম্প্রতিক খরা ও লেকের জলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত। জানা গিয়েছে, যে কটি ডলফিন এখনও বেঁচে রয়েছে, সেগুলিকে সরকারের তরফেই পুকুর, হ্রদ এবং অন্য ছোট জলাশয় থেকে সরিয়ে নদী এবং বড় জলাধারে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে, কারণ সেখানকার জল অপেক্ষাকৃত শীতল।