কোচবিহার: বদরি থেকে লাভবার্ড, আবার ময়না থেকে কাকাতুয়া দেশি-বিদেশি পাখিতে সেজে উঠবে রকিসবিল মিনি জু। তারজন্য বিশেষ পরিকল্পনা করেছে বন দপ্তর(Forest Department)। পাখিদের রাখার জন্য দুটো বড় মাপের খাঁচাও তৈরি করা হবে। তারজন্য প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এদিকে পাখিদের খাবারের জন্য প্রায় আড়াই হাজার গাছ লাগানো হবে রকিসবিল(Rasikbeel) মিনি জুতেই(Mini Zoo)।
বন দপ্তরের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলছেন, ‘রসিকবিলকে আরও সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এখানে আরও নতুন নতুন পাখি আনা হবে। তাদের খাবার এবং রাখার জন্য বেশ কিছু কাজ করা হবে। প্রায় এক বছরের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।’
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নতুন যে পাখিগুলি নিয়ে আসা হবে, তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হবে বড় খাঁচায়। ৫০০ বর্গমিটারের দুটো বড় খাঁচার ব্যবস্থা করা হবে। একটিতে থাকবে বিদেশি পাখি, আরেকটিতে দেশি পাখি থাকবে। থাকবে ম্যাকাও, কাকাতুয়া, টিয়া, ময়না, বদরি, গোল্ডেন ফিজেন্ট, সিলভার ফিজেন্ট, বনমুরগি সহ বহু ধরনের পাখি। পাখিদের যেখানে রাখা হবে, সেই বাসস্থান তৈরির কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে। তাতে খরচ হবে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা। আগামী পিকনিকের মরশুমের আগে কাজটি শেষ করে পাখি নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্যদিকে, রসিকবিলের মধ্যেই প্রায় এক হেক্টর জমিতে নানা প্রজাতির গাছ লাগানো হবে এই পাখিদের জন্যই। সবমিলিয়ে আড়াই হাজার গাছের চারা লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তারমধ্যে অশ্বথ, বট, জলপাই, হরীতকী, বহেড়া প্রভৃতি রয়েছে।
কোচবিহার জেলার অন্যতম পর্যটনস্থল হল এই রসিকবিল মিনি জু। সারাবছর এখানে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা আসেন। স্থানীয়দের কাছেও এই মিনি জু’র আকর্ষণ রয়েছে। এখান থেকে বেশ ভালো টাকা আয়ও হয় বন দপ্তরের। তাই রসিকবিলকে আরও সাজিয়ে তুলতে চাইছেন দপ্তরের কর্তারা।