কিশনগঞ্জঃ সোমবার বিয়ে! আয়োজন প্রায় সম্পন্ন, আর এর মধ্যেই নিখোঁজ হয়ে গেলেন কনে। এই ঘটনায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছে কনের পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্নিয়া শহরের ঝান্ডা চক এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, কনের প্রাক্তন প্রেমিক এই অপহরণের কাণ্ড ঘটিয়েছে। যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে বর্তমানে পূর্ণিয়া জেলে বন্দি আছেন। নিখোঁজ কনেকে খুঁজে বের করতে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও করেছেন কনের মা।
জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার বিহারের পূর্নিয়া শহরের ঝান্ডা চক এলাকার বাসিন্দা খুশবু কুমারীর বিয়ে। গত সোমবার বিয়ের কিছু কেনাকাটি করতে খুশবু গিয়েছিলেন পূর্ণিয়ার ভাট্টা মার্কেটে। তারপর থেকেই আর খোঁজ নেই মেয়েটির। এই ঘটনায় খুশবুর পরিবারের অভিযোগ তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খুশবুর সঙ্গে স্থানীয় এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী রাহুল যাদবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১৫ মে একটি ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তার হয় রাহুল। বর্তমানে সে পূর্ণিয়া সেন্ট্রাল জেলে বন্দি। এরপরই তড়িঘড়ি মেয়ের বিয়ে অন্যত্র ঠিক করেন মা মীরা মণ্ডল। মীরা মণ্ডলের অভিযোগ, বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকেই জেলের ভেতরে বসে মাঝে মধ্যেই নানাভাবে ফোনে হুমকি দিচ্ছে রাহুল। যদি মেয়ের অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয় তবে ফল ভালো হবে না। মীরার দাবি, তাঁর মেয়ের সঙ্গে রাহুলের কোনও প্রেমের সম্পর্ক ছিল না।
এদিকে খুশবু কুমারীর মা মীরা মণ্ডল গত বুধবার পূর্ণিয়া সদর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন অতিক্রান্ত হলেও এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি খুশবুর। এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে শনিবার মীরা মন্ডল পূর্নিয়ার পুলিশ সুপার আমীর জাভেদকে আবার লিখিত অভিযোগ করেন। আর মেয়েকে উদ্ধারের আবেদন জানান। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে পুলিশ সুপার এই ঘটনার বিশেষ তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পুস্কর কুমারকে।
এদিকে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অপহরনের ঘটনা নয়, এর পেছনে রয়েছে প্রেমঘটিত বিষয়। কিন্তু জেল থেকে বন্দি রাহুল যাদবের ফোন সম্পর্কে মন্তব্য পুলিশের তদন্তে সত্যতা প্রকাশ পাবে। অপরদিকে সোমবার অপহৃতার বিয়ের দিন নির্ধারিত। এখনও খুশবুর কোনও খোঁজ না মেলায় তাঁর বিয়ে নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।