গাজোল: বদলে গিয়েছিল রংটা। আর তাতেই গোলমাল। অভিযোগ, বিজেপি শাসিত গাজোলের আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নীল সাদা রংয়ের প্যান্ডেলের বদলে গেরুয়া-সাদা রংয়ের কাপড় দিয়ে দুয়ারে শিবিরের স্টল বানিয়েছিলেন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। আর সেই কারণেই শিবির শুরুই হল না বলে অভিযোগ, পঞ্চায়েতের। জানা গিয়েছে, এদিন ময়না স্কুল ময়দানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের দুয়ারে সরকার শিবির। গত তিনদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় মাইকের মাধ্যমে শিবিরের কথা প্রচার করা হয়েছিল। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে শিবিরের জন্য যে বিভিন্ন স্টল হয় তা তৈরি করা হয়েছিল গেরুয়া এবং সাদা রঙের কাপড় দিয়ে। শিবিরে আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। শিবিরে উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্য সদস্যরাও। কিন্তু শিবির পরিচালনার জন্য সরকারি কর্মচারীরাই ছিলেন না। ফলে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা নিতে যে সমস্ত সাধারণ মানুষ এসেছিলেন তাদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। আর এই নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তাঁরা। অনেকের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের রংয়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁদের সম্পর্ক সরকারের সঙ্গে। শুধুমাত্র রঙের জন্য শিবির বন্ধ করে দেওয়ার কোনও যুক্তি থাকতে পারে না।
যদিও আলাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উমা মণ্ডল বলেন, ‘দুয়ারে সরকারের মুখ্য শিবির কেন বন্ধ করা হল সেই বিষয়ে আমাদের লিখিতভাবে বিডিও অফিস থেকে কিছুই জানানো হয়নি। আমরা গেরুয়া এবং সাদা রং দিয়ে স্টল গুলো তৈরি করেছিলাম। গতকাল বিডিও আমাদের জানিয়ে ছিলেন প্যান্ডেলের কাপড়ের রং পরিবর্তন না হলে ক্যাম্প বাতিল করা হবে। এলাকার সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই আমরা এখানে এই ক্যাম্প করেছিলাম। তবে এখানে যাতে এই ক্যাম্প না করা হয় তার জন্য তৃণমূলের তরফে নানা ধরনের চেষ্টা করা হয়েছিল। শিবির বাতিলের কথা গতকাল রাতে আমাদের জানানো হয়। আমরা যতটা পেরেছি বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে এই কথা জানিয়ে দিয়েছি। তবে সব এলাকায় জানানো সম্ভব হয়নি তাই প্রচুর মানুষ এদিন শিবিরে এসেছেন। আসলে আলাল গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি এবং মহাজোট মিলে পরিচালনা করছে। তাই এই গ্রাম পঞ্চায়েতকে যাতে নানা ভাবে বিপর্যস্ত করা যায় তার জন্য সব রকম চেষ্টা চলছে।‘
তবে দুয়ারে সরকার শিবিরের রং বিতর্কের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং। তিনি জানান, মূলত সরকারি কর্মীদের নিয়ে দুয়ারে সরকার শিবির অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এদিন বেশ কিছু তদন্তের হিয়ারিং চলছে। হঠাৎ করে সেখানে সরকারি কর্মীদের ডাক পড়ায় কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। তার জন্যই আজকের শিবির বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামী দিনে আবার এখানে শিবির অনুষ্ঠিত হবে।