সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি পুরনিগমের কড়া পদক্ষেপের আভাস মিলেছিল। সেই কারণে পুরনিগম পদক্ষেপ করার আগেই বাড়ির মালিক অবৈধ নির্মাণ (Illegal construction) ভাঙার কাজ শুরু করলেন।
পুরনিগমের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রমোদনগরে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে একটি বহুতল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ছাদ ঢালাই করে বাড়ির মালিক তিনতলার অননুমোদিত নির্মাণটিও করে ফেলেন। হাসমি চক থেকে উড়ালপুলের দিকে ওঠার মুখে বস্তি এলাকার মাঝে সেই নির্মীয়মাণ বহুতলটি দেখে অনেকেই অবাক হচ্ছিলেন। শহরের একেবারে মাঝে কী করে এমন অবাধে অবৈধ নির্মাণ চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ ছিল, বাড়ির মালিক রাজ্যের শাসকদলের কর্মী। পাশাপাশি ওয়ার্ড কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ। সেই কারণে প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ নির্মাণ চালিয়ে যান। এ নিয়ে উত্তরবঙ্গ সংবাদে খবর প্রকাশিত হতেই, পুরনিগম নড়েচড়ে বসে। পুরনিগমের তরফে বাড়ির মালিককে অবৈধ নির্মাণটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। নয়তো পুরনিগমের তরফে সেটি ভেঙে দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই বাড়ির মালিক অবৈধ নির্মাণটি ভাঙার কাজ শুরু করে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলার সঞ্জয় শর্মার কথায়, ‘বর্তমান পুরবোর্ড কোনও ধরনের অবৈধ নির্মাণ বরদাস্ত করছে না। গুরুংবস্তি এলাকায় সরাসারি অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিয়ে মেয়র গৌতম দেব সেই প্রমাণ দিয়েছেন। দলমতনির্বিশেষে সমস্ত অবৈধ নির্মাণ ভাঙা হবে। প্রমোদনগরের ওই বাড়ির মালিক বিষয়টি বুঝতে পেরে ভাঙার কাজ শুরু করেছে।’
এমনিতে প্রমোদনগর এলাকায় সরকারি জায়গা দখল করে ঘর বানিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে। সংকীর্ণ রাস্তার ওপর সংশ্লিষ্ট অবৈধ নির্মাণ কি করে হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কেননা অতীতে ওই এলাকায় একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হয়েছে। রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় দমকলকে আগুন নেভানোর কাজ করার ক্ষেত্রে দারুণ বেগ পেতে হয়। সেই কারণে বিভিন্ন মহল থেকে নির্মাণকাজ ভেঙে ফেলার দাবি ওঠে।