দীপঙ্কর মিত্র, রায়গঞ্জ: দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই আবার দুর্গাপুজো! দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের পর সবার যখন মন খারাপ, ঠিক সেইসময় পুজো নিয়ে মেতে ওঠেন রায়গঞ্জের মসলন্দপুরের বাসিন্দারা।
মসলন্দপুর যুব মিলন সংঘের উদ্যোগে মহালয়ার ১৫ দিন পর দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন স্থানীয়রা। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা তারাপদ বর্মন ৩৩ বছর আগে এই দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন। এরপর তাঁর ছেলে বৈদ্যনাথ বর্মন এবং পরবর্তীতে সজল বর্মন এই পুজো চালিয়ে যান। তাঁদের মৃত্যুর পর স্থানীয়রা এখন এই পুজো করেন। গত শনিবার সপ্তমীতে তিথি মেনে পুজোর সূচনা হয়, আজ ছিল দশমী। গতকাল নবমীতে স্থানীয়দের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এদিন দশমী হলেও প্রতিমা নিরঞ্জন হবে বৃহস্পতিবার। বুধবার গ্রামে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
পুজো কমিটির তরফে অভিজিৎ বর্মন বলেন, ‘আমার ঠাকুরদার বাবা তারাপদ বর্মন এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। পরবর্তীতে আমার ঠাকুরদা বৈদ্যনাথ বর্মন ও বাবা সজল বর্মন পুজোর দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে স্থানীয়রা নিজেরা উদ্যোগে এই পুজো করেন।’ স্থানীয়দের বক্তব্য, স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর মহালয়ার ১৫ দিন পর এই পুজো করা হয়। চারদিন ধরে নিয়ম মেনে পুজো হয়। পুজো কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ দাস জানান, রাজ্য সরকারের ৭০ হাজার টাকা পুজো অনুদান পেয়েছেন। বাকি পুজোর খরচের জন্য স্থানীয়দের থেকে চাঁদা তোলা হয়েছে। পুজো কমিটির সদস্য নির্মল বর্মন জানান, দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে এবছর রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। পুজো উপলক্ষ্যে চারদিন খিচুড়ি ভোগের আয়োজন করা হয়। পুজোর ক’দিন সাধারণ মানুষের মধ্যে যথেষ্ট উদ্দীপনা দেখা যায়।