দত্তপুকুর: উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের দত্তপুকুরে বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রথম কাউকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে শফিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেরামত আলির বাজির ব্যবসায় শফিকের অংশীদারিত্ব ছিল বলে জানা গিয়েছে। রাতভর চলে তল্লাশি। প্রায় ২০০ কেজি শব্দবাজি সহ বাজি তৈরির সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
দত্তপুকুরের বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণে কয়েকটি নাম গতকাল থেকেই উঠে এসেছে। এর মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে শোনা গিয়েছে কেরামত আলির কথা। গতকালের বিস্ফোরণে সপুত্র কেরামতের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। আবার অনেকের মতে, কেরামতের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের একাংশের মতে তিনিও বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত, রবিবার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সাতসকালে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে যায় একটি দোতলা বাড়ি। আশপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ৫০-১০০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে কর্মরত শ্রমিকদের দগ্ধ দেহ। এমনকি চিলেকোঠার ছাদেও তা ছিটকে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
এদিকে ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ও প্রশাসনের মদতেই অবৈধ বাজি কারখানার রমরমা। যদিও এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি তৃণমূলের। প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজি কারখানা চললেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবিতে অমিত শা’কে চিঠি লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। তবে দোষীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি।