উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ East Bengal-Mohunbagan আইএসএলের দুটি দল, কিন্ত পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। একটি দল রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে, অপর দলটি তালিকার শেষদিক থেকে দ্বিতীয়। প্রথম দলটি মোহনবাগান এবং দ্বিতীয়টি ইস্টবেঙ্গল।
শনিবার খেলতে নামছে দুটি দল। ঘরের মাঠে মোহনবাগান খেলবে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে। ইস্টবেঙ্গল অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। গত ম্যাচে লিগের অপরাজিত দল গোয়াকে হারিয়েছে মোহনবাগান। স্বভাবতই পরের ম্যাচে যথেষ্টই উজ্জীবিত হয়েই মাঠে নামবে সবুজ-মেরুন। শনিবার জিতলেই উঠে আসবে পয়েন্ট তালিকায় দুই নম্বরে। পরের ম্যাচটি যদি মোহনবাগান জেতে তাতে বাকি দলগুলোর মতো সমসংখ্যক ম্যাচ খেলেই জাতীয় দলটি উঠে আসবে তালিকার শীর্ষে। আর এই সুযোগকেই পাখির চোখ করতে চাইছেন কোচ আন্তেনিও লোপেজ হাবাস। শনিবারের দলে রদবদলের ইঙ্গিতও তিনি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, হাবাস আসার পর থেকেই কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল।
অপরদিকে ইস্টবেঙ্গলের চিত্রটি কিন্তু সম্পূর্ন আলাদা। সুপার কাপ জয়ের পর থেকে ইস্টবেঙ্গল দলের ফর্ম ক্রমশই নিম্নগামী। কলকাতা ডার্বিতে ড্র করলেও হেরেছে পরের দুটি ম্যাচ। শুক্রবার চেন্নাইয়ান জেতায় তাঁরা নেমে গেছে লিগ তালিকায় ১১ নম্বরে। আপাতত লিগ টেবিলের ছয় নম্বরে থেকে লিগ শেষ করাই লক্ষ্য দলের। সেজন্য আগামী ম্যাচে লিগ টেবিলের শেষে থাকা হায়দরাবাদকে হারাতেই হবে লালহলুদকে। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের কথাতেও সেই সুরই স্পষ্ট। তাঁর লক্ষ্য এখন লিগের তলানিতে থাকা দলগুলির বিরুদ্ধে জয়লাভ।
এদিকে শুক্রবার সাংবাদিক সন্মেলনে আইএসএলের সূচি নিয়ে ক্ষোভের সুর হাবাসের গলায়। তিনি বলেন, ‘পুরো অবাস্তব এই সূচি। শুধু আমাদের নয়, সব দলের ক্ষেত্রেই এটা দেখা যাচ্ছে। একটা দল সাতদিন বিশ্রাম নিয়ে এখানে খেলতে আসছে। আর আমরা দেশের অন্যপ্রান্ত গোয়া থেকে ফিরে দুদিনের মধ্যে খেলতে নামছি। আমিতো ঠিকমত ঘুমাতেই পারিনি। খুব কঠিন এভাবে খেলা। কিন্তু এর সঙ্গেই আমাদের মানিয়ে নিতে হবে’। তিনি আরও বলেন, ‘শুধু ফুটবলারদের নয়, দর্শকদের কথাও মাথায় রাখতেই হবে। আমরা প্রায়ই বলি মাঠে কোনও দর্শক হচ্ছে না। আরে দর্শকদের সময়কেওতো গুরুত্ব দিতে হবে। এত ঘন ঘন খেলা দেখলে তাঁরা ক্লান্ত হয়ে যেতেই পারেন। সবার কথাই মাথায় রাখতে হবে’।
ইস্টবেঙ্গল কোচের মতই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর কথা মোহনবাগান কোচ হাবাসের গলায়। নর্থ-ইষ্ট ম্যাচে দলে একাধিক বদলের সম্ভাবনার আভাস। তিনি জানান প্লেয়াররা গোয়ার হোটেলে বিশ্রাম নিয়েছে, ফেরার পথেও রিকভারির চেষ্টা করেছে। কিন্তু যে প্লেয়ারটি দুদিন আগের ম্যাচে ৯০ মিনিট খেলেছে তাঁর পক্ষে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ছাড়া ৯০ মিনিট খেলা চাপের। সাপোর্ট স্টাফেরা প্লেয়ারদের দ্রুত রিকভারির মাধ্যমে তাঁদের সেরাটা বের করে আনার কাজ চালাচ্ছেন। কাকে খেলাবেন কাকে বিশ্রাম দেবেন সেই ভাবনাও চলছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
লালহলুদ কোচ বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন প্রত্যেকটা ম্যাচই জিততে হবে। নুঙ্গা এবং মহেশকে আমরা পাচ্ছি না। তবে চার জন বিদেশিকে অন্তত খেলাতে পারব। এটাই আমাকে শান্তি দিচ্ছে।’