উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ওজন মাত্র ১০২। ভাবছেন এত ওজন, তা সত্ত্বেও ‘মাত্র’ শব্দটা ব্যবহার করা যায় কিভাবে।তাঁর কার্যকলাপ বেশি ওজনের সংজ্ঞাটা যেন পাল্টে দিয়েছে নিমেষে।যার কথা বলা হচ্ছে তিনি হলেন রানাঘাট থানার সাব ইন্সপেক্টর রতন কুমার রায়। কিছুদিন আগে রাণাঘাটে নামী গয়নার শোরুমে ডাকাতি হয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, রতন কুমার রায় হাতে রিভলভার নিয়ে ডাকাতদের পেছনে ধাওয়া করছেন। ভিডিও সামনে আসতেই সকলের প্রশংসা কুড়োন তিনি। এবার তাঁর সাহসিকতাকে সম্মান জানাতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দিতে চান বীরের সম্মান।
বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন স্পেন সফরে।তাঁর সফর সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন ডিরেক্টর সিকিউরিটি পীযূষ পাণ্ডে। পীযূষ পান্ডেকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সাব ইন্সপেক্টর রতনকুমার রায়কে বীরের সম্মান দেওয়ার জন্য বন্দোবস্ত করতে।পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বিহার থেকে আসা গ্যাং কিভাবে বাংলায় ডাকাতি করে তা খতিয়ে দেখে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে বলেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অগাস্ট পুরুলিয়া ও রানাঘাটে একই নামী সোনার শোরুমে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে।ঘটনার সময় দুষ্কৃতীদের পেছনে সেই রিভলবার উঁচিয়ে তাড়া করেন সাব ইন্সপেক্টর রতনকুমার রায়। ডাকাতরা তাঁকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলিও ছোড়ে। কিন্তু তিনিও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্যে পাল্টা গুলি করেন রতন।এমনকি রেললাইন ধরে পালানোর সময়ে চার জন দুষ্কৃতীকে ধরেও ফেলে পুলিশ।রানাঘাটের মানুষ মনে করেন চারজন দুষ্কৃতীকে ধরা গেছে শুধুমাত্র রতন কুমার রায়ের সাহসিকতার জন্য।