উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। আর মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই উদ্ধার করা সম্ভব হতে পারে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিক। আর মাত্র ১৬ মিটার মাটি খুঁড়লেই তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে দাবি করেছেন উত্তরাখণ্ডের প্রশাসনিক কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের বার করে আনতে ২০ মিটারেরও কম পাথর এবং ধ্বংসাবশেষ সরানো বাকি রয়েছে।
ধীরে ধীরে কমছে দূরত্ব। দ্রুত উদ্ধারকারীরা পৌঁছে যাবেন আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে। আর মাত্র ১৬ মিটার খুঁড়ে ফেললেই ব্যস। উদ্ধার করা যাবে উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিককে। উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের এক কর্তা মাহমুদ আহমেদ জানিয়েছেন, “সুড়ঙ্গের মুখে আটকে থাকা পাথর খনন কার্যে ব্যবহার করা হচ্ছে খননযন্ত্র অগারকে। এদিন দুপুর ১টা থেকে শুরু হয়েছে খনন কার্য। দু’ঘণ্টার মধ্যেই সেটি ১৮ মিটার খনন করতে সম্ভব হয়েছে। পরে জানতে পেরেছি ৪১ মিটার পর্যন্ত পাথর খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে শ্রমিকরা ৫৭ মিটার নীচে আটকে রয়েছেন। অর্থাৎ, তাঁদের উদ্ধার করতে আর মাত্র ১৬ মিটার বাকি রয়েছে।’’ আহমেদ আরও বলেছেন, ‘‘যদি আর কোনও বাধা না আসে, তা হলে বুধবার রাতে বা বৃহস্পতিবার সকালে বড় খবর পাওয়া যেতে পারে।’’
জানা গিয়েছে, পাথর খননের পাশাপাশি শ্রমিকরা যাতে বেরিয়ে আসতে পারেন সে কারণে ঢালাই করা পাইপ ঢোকানো হচ্ছে। সেটা করতে একটু বেশ সময় লেগে যাচ্ছে উদ্ধারকার্যে। খনন করতে বেশি সময় লাগে না খননযন্ত্র অগারের। উদ্ধারকার্য প্রসঙ্গে আহমেদ জানান, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ১৮ মিটার পাইপ ঢোকাতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা সময় লেগেছে। একটি অতিরিক্ত পাইপও সুড়ঙ্গের ভিতরে ২১ মিটার পর্যন্ত ঠেলে ঢোকানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহমদ।
এদিকে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের পাইপের সাহায্যে খাবার, অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাতের খাবারে পাঠানো হয় পোলাও, মটর পনির এবং দু’টি করে রুটি। মঙ্গলবার রাতে পাইপের ভিতর দিয়ে প্রায় দেড়শোটি খাবারের প্যাকেট শ্রমিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাঁদের কাছে মোবাইল, চার্জার, অর্ন্তবাস এবং তোয়ালে পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ধস নামে। ভাঙা সুড়ঙ্গের ভিতরেই আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। সেই ঘটনার পর ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও উদ্ধার করা যায়নি শ্রমিকদের। সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিককে নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য ও কেন্দ্র।