উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: একাধিক দাবিতে মঙ্গলবার ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে (Delhi Farmers Protest) পঞ্জাব, হরিয়ানার হাজার হাজার কৃষক। তার আগে সোমবার রাত থেকেই দিল্লির সঙ্গে পঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সংযোগকারী সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সিংঘি, টিকরি এবং গাজিপুরে রারারাতি গড়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী জেল। কৃষকেরা আইন-অমান্য শুরু করলে গ্রেপ্তার করে অস্থায়ী জেলে নিয়ে রাখা হবে। রাস্তায় বসানো হয়েছে কাঁটাতারের ব্যরিকেড।
‘দিল্লি চলো’ অভিযানের (Delhi Chalo March) ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা এবং কিষান মজদুর মোর্চা। কেন্দ্রীয় সরকার দাবি না মানা পর্যন্ত কৃষকেরা রাস্তায় বসে থাকবেন। ইতিমধ্যে দিল্লির সঙ্গে পড়শি রাজ্যগুলির যানবাহন চলাচল অনেকটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাস্তা জুড়ে চলছে তল্লাশি। অন্যদিকে, শয়ে শয়ে ট্রাক, ট্র্যাক্টরে চেপে কৃষকেরা আসতে শুরু করেছেন।
২০২০ সালে তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে অবস্থানে বসেছিলেন কৃষকরা। পরে তিন আইনই বাতিল করা হয়। আর এই আন্দোলনে নামা কৃষকদের দাবি ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে। একইসঙ্গে সমস্ত কৃষিঋণ মকুব করতে হবে। স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাব মেনে ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। ২০২০-২১ সালের প্রতিবাদে কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা খারিজের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সোমবার রাতে বৈঠকে বসে ২০২০ সালের ইলেকট্রিসিটি আইন বাতিল করার বিষয়ে কৃষক নেতাদের আশ্বস্ত করেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনায় কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু কৃষকদের মূল তিনটি দাবি-ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য, কৃষিঋণ মকুব এবং স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাবের রূপায়ণ নিয়ে দু’পক্ষ কোনও স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। এরপরই রাতে আন্দোলনকারী দুই সংগঠন জানায়, তাদের কর্মসূচি বহাল থাকছে।