রাঙ্গালিবাজনা: হাতির ভয়ে কাঁচা থাকতেই ধান কেটে ঘরে তুলছেন আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট-বীরপাড়া ও ফালাকাটা ব্লকের জঙ্গল লাগোয়া এলাকার কৃষকরা। এতে অবশ্য গুণমানে চাল খারাপ হচ্ছে। তবে পাকার অপেক্ষা করলে ধান হাতির পেটে যাওয়ার সম্ভাবনা।
মাদারিহাটে হাতির হানা অব্যাহত। এক মাসে সেখানে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান লাগোয়া ফালাকাটা ব্লকে একজন ও আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকে একজন হাতির হানায় প্রাণ হারিয়েছেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে কাঁচা ধানই কেটে ঘরে তুলছেন এলাকার কৃষকরা।
ধুমচি ফরেস্ট লাগোয়া রাঙ্গালিবাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়ার ভেতর দিয়ে হাতি চলাচলের করিডোর রয়েছে। ধান পাকা শুরু হতেই এলাকায় বেড়েছে হাতির উৎপাত। ফলে ক্ষতির মুখে ডাঙ্গাপাড়া, মণ্ডলপাড়া, প্রধানপাড়ার কৃষকরা। একই ছবি খয়েরবাড়ি ফরেস্ট লাগোয়া ইসলামাবাদ গ্রামেও। খয়েরবাড়ি ২ নম্বর বন সুরক্ষা কমিটির সদস্য বদরুল আলম জানান, গ্রামের একেবারে জঙ্গল লাগোয়া অংশে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। তাই ওই এলাকার অনেকেই আগেভাগেই ধান কাটছেন। প্রসঙ্গত, খয়েরবাড়ি ফরেস্টের হাতির হানায় মধ্য খয়েরবাড়ি, পূর্ব খয়েরবাড়ি, উত্তর খয়েরবাড়ি, পশ্চিম মাদারিহাট সহ বিভিন্ন এলাকার বিঘার পর বিঘা জমির ধান ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত।
খয়েরবাড়ি ফরেস্টের চারিদিকে রয়েছে মাদারিহাট ও ফালাকাটা ব্লকের লোকালয়। ফরেস্ট লাগোয়া পশ্চিম শালকুমার গ্রামের কৃষকরা এখন রাত জেগে ধানখেত পাহারা দিচ্ছেন। এলাকার আশরাফ আলি, মোমোনুল আলমরা জানান, ধানের চারা রোপণের কিছুদিন পর থেকে হাতি হানা দিতে শুরু করেছিল। শিস বেরোনোর আগেই বিঘার পর বিঘা জমির ধানগাছ হাতির পেটে গিয়েছে। ধান পাকতে শুরু করায় হাতির হানা আরও বেড়েছে।