উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ লাইনে দাঁড় করিয়ে নিজের তিন সন্তানকে গুলি করে খুন করল বাবা। এমনই হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী থাকল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে পুলিশ অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের কাছে তিন সন্তানকে রাইফেল দিয়ে গুলি করে খুন করার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। পরিকল্পনা করেই সন্তানদের গুলি করে হত্যা করেছেন বলে অনুমান পুলিশের। কোনওক্রমে অভিযুক্তের এক কন্যা সন্তান পালিয়ে বেচেছে। সন্তানদের বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অভিযুক্তের স্ত্রীও।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম চ্যাড ডোরম্যান (৩২)। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটা নাগাদ ডোরম্যান গুলি করে হত্যা করেন তার তিন পুত্র সন্তানকে। মৃত শিশুদের বয়স ৩, ৪ এবং ৭ বছর ছিল। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি তিন সন্তানকে লাইনে দাঁড় করানোর পর যখন এক সন্তানের দিকে রাইফেল তাক করে তখন এক সন্তান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তার পিছু ধাওয়া করে তাকে আবার লাইনে দাঁড় করিয়ে দেয় ওই ব্যক্তি। এরপর একে একে তাদের গুলি করে খুন করে।
গুলি করার সময় অভিযুক্তের এক শিশুকন্যা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। বাইরে বেরিয়ে সে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি শুরু করে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক গাড়ি চালক মেয়েটির চিৎকার শুনে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ সেখানে পৌঁছয়। সেখানে গিয়ে তিনজনের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে গুলির শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা ভিড় জমান ঘটনাস্থলে।
শনিবার ধৃতকে স্থানীয় আদালতে তোলা হলে শুনানিতে খুনের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত চ্যাড ডোরম্যান। ছেলেদের বাঁচাতে গিয়ে মাও হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিনসিনাটির মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডোরম্যানের কাছ থেকে বন্দুকটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁর স্ত্রী সেই সময় তাঁর হাতে গুলি লাগে। যদিও আঘাত কতটা গুরুতর তা জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্তানদের গুলি করার পর বাড়ির বাইরে একটি বারান্দায় বসে ছিল অভিযুক্ত। সেখান থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত স্বীকার করেছে, বেশ কয়েক মাস ধরে সন্তানদের হত্যার পরিকল্পনা করছিল ওই ব্যক্তি। তবে হত্যার কী কারণ রয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।