মানিকচক: স্কুল চলাকালীন সহকারী প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষাঙ্গনে চলল কিল, চড়, ঘুষি। হাতাহাতি চলাকালীন সহকারী প্রধান শিক্ষককে হাতে ও গলায় কামড় বসালেন প্রধান শিক্ষক। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচকের এনায়েতপুর হাই স্কুলে। অভিযোগ, স্কুল চলাকালীন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন এনায়েতপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার। উভয় শিক্ষকই মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করান ও মানিকচক থানার দ্বারস্থ হন।
সহকারী প্রধান শিক্ষক সুনন্দ মজুমদারের অভিযোগ, টিফিনের সময় আমি ব্যাংকে যেতে চাইলে প্রধান শিক্ষক গেটের চাবি দিচ্ছিলেন না। আমি বললাম প্রয়োজনীয় কাজ আছে চাবি দিন। এই নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আমার বচসা শুরু হয়। সেই সময় প্রধান শিক্ষক হঠাৎ আমার উপরে চড়া হয় এবং কিল মারতে থাকে। আমি থামাতে গেলে কানে কিল মারে এবং হাত ও গলায় দাঁতের কামড় বসায়। আমি কানে কম শুনতে পাচ্ছি। হাত দিয়ে রক্তপাত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সাইকেল চুরি থেকে শুরু করে হোস্টেলে ভুয়ো ছাত্রীদের এনরোলমেন্ট দেখিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ হয়েছে। ঘটনাগুলি খবরের শিরোনামে এসেছে। আমি মনে করি বদিউজ্জামান প্রধান শিক্ষকের অযোগ্য। তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
পালটা প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামানের অভিযোগ, স্কুল চলাকালীন স্কুল ছেড়ে চলে যেতে বাধা দিলে সুনন্দ মজুমদার তাকে মারধর করে। তিনি বলেন, ‘আমি নিয়ম করেছি ছুটির আগে কেউ বিদ্যালয় থেকে বেরোতে পারবে না। আমি সুযোগ-সুবিধা না দেওয়ায় সুনন্দ বাবু আমাকে মারধর করেছেন। সুনন্দ বাবুর স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ায় তিনি নিজের দাপট দেখাচ্ছেন।’ এনায়েতপুর ইনসান আলি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে এই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। এটি লজ্জাজনক ঘটনা।’