সৌরভকুমার মিশ্র, হরিশ্চন্দ্রপুর: মাটি কেটে ক্যানাল ভরাটের অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আবার শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সরণপুরের ঘটনা। এর প্রতিবাদে এদিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরণপুর গ্রামের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ফারহানা রহমানের স্বামী উমর ফারুক হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত। অভিযোগ, তিনি রাতের অন্ধকারে মাটি কেটে সরকারি জল নিকাশি ক্যানাল ভরাট করছেন। স্থানীয়দের দাবি, ওই ক্যানালই গ্রামের একমাত্র নিকাশি ব্যবস্থা। আর তা ভরাট করে সেই জমি বিক্রির ছক কষছেন ফারুক। এই অবৈধ কাজ বন্ধের দাবিতে এদিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, কোনওভাবেই ক্যানেল ভরাট করতে দেওয়া হবে না। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার গ্রামে সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
বিক্ষোভকারী সাগর মণ্ডল বলেন, ‘এই জমি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ক্যানাল বন্ধ হয়ে গেলে গ্রামে মারাত্মক সমস্যা হবে। ফারুক রাতের অন্ধকারে আর্থমুভার দিয়ে মাটি খুঁড়ে ক্যানাল ভরাট করছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে, এলাকাবাসীর অভিযোগে সহমত পোষণ করে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সদস্য ধর্মা মণ্ডলও। তিনি বলেন, ‘আমিও তৃণমূল করি। কিন্তু কেউ তৃণমূল করলে তো আর যা ইচ্ছে তাই করতে পারে না। বাসিন্দাদের দাবি ন্যায্য। আমিও তাঁদের দাবির সঙ্গে সহমত।’
যদিও এই বিষয়ে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার ওমর ফারুক সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। তবে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুরজিৎ দাস বলেছেন, ‘আমি সরকারি কাজে নবান্নে এসেছি। বিষয়টি জানা নেই। আমি দপ্তরের প্রতিনিধিকে খোঁজ নিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’