মিঠুন ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: ফুলবাড়ি (Fulbari) এলাকায় ফের সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার ফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্যানাল রোডে জোড়াপানি (Jorapani) সেতু সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার পাশের জমি দখল করে দোকান তৈরি করতে দেখা গিয়েছে। সরকারি জমি দখলকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠছে এলাকায়। প্রধান বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু ক্যানাল রোডই (Canal road) নয়, একই গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্ডার রোড, মার্ডার মোড়, ব্যাটালিয়ন মোড় এলাকায় বহু দোকানই অবৈধভাবে তৈরি হয়েছে। একই ছবি ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও। ভোলা মোড় থেকে গোরা মোড় বা সাহুডাঙ্গি রোডেও সরকারি জায়গা দখল করে একের পর এক দোকান তৈরি হচ্ছে। ভোলা মোড়ের বাসিন্দা রমেশ পাসোয়ানের অভিযোগ, ‘প্রভাবশালীদের মদতে কিছু অসাধু লোক রাস্তার পাশে জমি দখল করে নিচ্ছে।’
অন্যদিকে, এদিন ক্যানাল রোডে দোকান তৈরির সময় বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতেই শোনা গেল অন্য কথা। দোকান তৈরিতে ব্যস্ত থাকা এক তরুণকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর উত্তর, ‘আমাদের কাজ করতে বলা হয়েছে। নিয়মকানুন সম্বন্ধে আমরা জানি না। তবে অনেকেই তো এভাবে দোকান করেছেন, নিশ্চয়ই নিয়ম মেনে করে থাকবেন।’ দিনের আলোয় এসব কারবার চলার কারণে অনেকেই অবৈধ কর্মকাণ্ডকেও বৈধ বলে ভেবে নিচ্ছেন। অন্তত স্থানীয় অনেকের সঙ্গে কথা বলে তেমনটাই জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে ফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রফিকুল ইসলামের বক্তব্য, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। যদি সরকারি জমি দখলের বিষয় থাকে তবে প্রশাসনকে বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ কোনওরকম অবৈধ কাজ বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, ফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতেও একই বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কয়েকজন দখলদারকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপপ্রধান আনন্দ সিনহা। আনন্দ বলেন, এই ধরনের অভিযোগ পেয়ে কয়েকদিন আগেই আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে দখলদারদের সতর্ক করে এসেছি। ওরা বলেছে দখল সরিয়ে নেবে। ঘটনাস্থলে প্রধান সুনীতা সাহা চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত ও রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।