উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ এক পরিচিত তরুণীর কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিল অপর এক তরুণী। সেই তরুণী টাকা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাহায্যপ্রার্থী মেয়েটিকে নিয়ে যায় দুই বিদেশি ফুটবলারের ফ্ল্যাটে। সেখানেই টাকা দেওয়ার নাম করে মেয়েটিকে তারা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এক মহিলা সহ অভিযুক্ত দুই বিদেশি ফুটবলারকে। শনিবার রাতে তিলজলা ও নিউ টাউন থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এই তিন অভিযুক্তকে।
বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, ধৃত দুই ফুটবলারের নাম ক্রিস জোসেফ ও মোজেস জুটা। তাঁরা ঘানার বাসিন্দা। কলকাতার তিলজলায় একটি ফ্ল্যাটে তাঁরা থাকেন। এই শহরের বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা চুক্তির বিনিময়ে খেলেন। এরা ২০১৯ সালে কলকাতায় এসেছিলেন। কোভিডের সময়ে তাঁরা ঘানায় ফিরে যান। ফের ২০২১ সালে তাঁরা কলকাতায় আসেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, নিউ টাউন থানা এলাকার বাসিন্দা ওই অভিযোগকারিণী একাই থাকেন। পরিবারের সঙ্গে তাঁর বনিবনা নেই। বাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে তিনি পাড়ারই লিজা নামে এক তরুণীর কাছে অর্থ সাহায্য চান। লিজা কলকাতায় থাকলেও আদপে সে মিজোরামের বাসিন্দা। লিজার সঙ্গে ওই ফুটবলারদের আগে থেকেই পরিচয় ছিল।
অভিযোগকারী তরুণী পুলিশকে জানিয়েছে, সামান্য কিছু আর্থিক সাহায্য চেয়েছিলেন পরিচিত লিজার কাছে। তখনই লিজা তাঁকে টাকা দেওয়ার নাম করে নিয়ে যায় দুই বিদেশির কাছে। সেখানে দুই ফুটবলার টাকা দেওয়ার অছিলায় বলপূর্বক ধর্ষণ করে লিজার সামনেই। দুই ফুটবলার তাঁর উপরে অত্যাচার করার সময়ে লিজা তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করেননি। পুলিশের অনুমান এই ঘটনায় লিজার প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে। পুলিশের দাবি লিজা নানান অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রচুর বিদেশি বন্ধু রয়েছে। সেই সূত্রেই ঘানার এই দুই ফুটবলারের সঙ্গে সম্পর্ক তাঁর। শনিবার রাতে মেয়েটি কলকাতার নিউ টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিলজলা ও নিউ টাউন থেকে গ্রেপ্তার করে লিজা সহ তিন অভিযুক্তকে।
ময়দান সূত্রের খবর, দক্ষিণ শহরতলিতে এই ধরনের বিদেশি ফুটবলারদের বসবাস রয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নামী ক্লাবের সঙ্গে জড়িত নন। মূলত, লেখাপড়া করতে তাঁরা এ দেশে আসেন। এখানে বসবাসের খরচ তুলতে বিভিন্ন ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলেন। অতীতেও এই ধরনের ‘খেপ’ খেলা ফুটবলারদের নানা অপরাধমূলক ঘটনায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। বিশেষত, মাদক পাচার বা সরবরাহ সংক্রান্ত অপরাধে একাধিক বার নাইজিরিয়া কিংবা ঘানার ফুটবলারদের নাম জড়িয়েছে।