শিবশংকর সূত্রধর, কোচবিহার: গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন (জিসিপিএ) (GCPA)-এর তরফে কোচবিহার (Cooch Behar) লোকসভা আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল। জিসিপিএ’র সভাপতি অমলচন্দ্র দাস প্রার্থী হচ্ছেন। আগে কোচবিহারে জিপিসিএ’র দুটি গোষ্ঠী ছিল। একটি নগেন রায় ও আরেকটি বংশীবদন বর্মনের গোষ্ঠী। বছরখানেক আগে বংশীবদনের গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে এসে নতুন গোষ্ঠী তৈরি করেন অমলরা। এবার তিনিই লোকসভার প্রার্থী হচ্ছেন। ফলে এই রাজবংশী ভোট কোন দিকে যাবে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
কোচবিহারের ক্ষেত্রে রাজবংশী ভোট (Lok Sabha Election 2024) গুরুত্বপূর্ণ। ৩০-৩২ শতাংশ রাজবংশী ভোট রয়েছে। এই ভোট যেদিকে থাকে সেদিকের প্রার্থীর পাল্লা ভারী। জিসিপিএ’র নগেন রায় বর্তমানে বিজেপির হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি আবার বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ। প্রার্থী নির্বাচনে তাঁর মতামত না নেওয়ায় তিনি প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফলে তাঁর অনুগামীদের ভোট কোনদিকে যাবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আবার জিপিপিএ’র আরেক গোষ্ঠী বংশীবদনের নেতৃত্বে চলছে। বংশীবদন রাজ্য সরকারের রাজবংশী ভাষা আকাদেমির চেয়ারম্যান। তাই পক্ষান্তরে তৃণমূলের সঙ্গে থাকলেও দলীয় প্রচারে বংশীবদনকে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না।
যদিও বংশীবদন বলেছেন, ‘যার নুন খাব, তারই গুণ গাইব। রাজ্য সরকার আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছে। তাই তৃণমুলের হয়েই নির্বাচনে প্রচার করব।’ জিসিপিএ’র তরফে প্রার্থী ঘোষণা প্রসঙ্গে বংশীবদন বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে যে কেউ প্রার্থী হতেই পারেন। তাই কে প্রার্থী হলেন তা নিয়ে বলার কিছু নেই।’
প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর অমল বলেছেন, ‘কোচবিহারের সামাজিক, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো করাই আমাদের উদ্দেশ্য। এছাড়াও কোচবিহারের উন্নয়ন করার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা চলবে।’ বুধবার দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন জিসিপিএ’র সাধারণ সম্পাদক বাদলচন্দ্র হিসাবিয়া। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সবার কাছেই ভোটপ্রার্থনা করব।’ যদিও জিসিপিএ পৃথক প্রার্থী দিলেও নির্বাচনে তার কোনও প্রভাবই পড়বে না বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে। দলের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কথায়, ‘যে কেউ প্রার্থী হতেই পারেন। তাতে সমস্যার কিছু নেই। তবে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের পাশে রয়েছেন।’