উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যের নাম ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রবিবার রাতে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ কল্যাণী বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেলগাছিয়ার পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়েরও অন্তর্বর্তী উপাচার্য মনোনয়ন করেছেন তিনি। রাজভবন সূত্রে খবর, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী। এই ঘটনায় ফের একবার নতুন করে শুরু হবে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত, মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।
দীর্ঘদিন ধরেই উপাচার্যহীন অবস্থায় রয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিজের হাতেই রেখে দিয়েছিলেন উপাচার্য। বিষয়টি নিয়ে বারংবার সংঘাতে জড়িয়েছে নবান্ন এবং রাজভবন। ৩১ অগাস্ট রাজভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আচার্য নিজেই উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন। স্থায়ী উপাচার্যের অভাবে পড়ুয়ারা যাতে সার্টিফিকেট পাওয়া বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কাজে বাধা না পায় তা নিশ্চিত করতেই এই বিজ্ঞপ্তি বলে জানা গেছে। এর পরই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকী রাজ্যপালের এই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
শনিবার রাজভবনের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন উপাচার্য। সব কিছু তাঁর নির্দেশে হবে। রেজিস্ট্রার, সহ-উপাচার্য তাঁর নির্দেশ মেনে চলবেন। এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় রাজ্যপাল বলেন, ‘‘এটা আচার্যের নির্দেশিকা নয়। সংবিধান, ইউজিসি আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে।’’তিনি আরও বলেন, ‘‘আচার্য উপাচার্য হিসেবে কাজ করেননি, করবেন না, করতেও পারেন না এবং করা উচিত নয়। উপাচার্য না থাকায় পড়ুয়াদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শংসাপত্র পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল, যার ফলে তাঁরা চাকরি পর্যন্ত হারাতে পারেন, আমি বলেছিলাম, শুধুমাত্র সেই সব ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থীদের সাহায্যের জন্য আচার্য হস্তক্ষেপ করবেন এবং শংসাপত্রগুলি ছাড়ার ব্যবস্থা করবেন। এর বেশিও না, কমও না।’’