উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ঘর-দোর পরিষ্কার করতে গেলেই হাঁচি-কাশিতে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন? তা হলে সম্ভবত আপনার ডাস্ট অ্যালার্জি আছে। অতি অবশ্যই একবার ডাক্তার দেখিয়ে নিন, তাঁর পরামর্শমতো ওষুধপত্র খান৷ সেই সঙ্গে অবশ্যই মেনে চলুন কয়েকটি ঘরোয়া নিয়ম, তাতে আরাম মিলবে নিশ্চিতভাবেই৷
লক্ষণ:
ডাস্ট মাইট (ধুলোর মধ্যে থাকা আণুবিক্ষনিক জীব) ও অন্য নানা কারণে ডাস্ট অ্যালার্জি হতে পারে৷ সাধারণ এই ধরনের অ্যালার্জির আক্রমণে নাক বন্ধ হয়ে যায়, শ্বাস নিতে অসুবিধে হয়, বার বার হাঁচি আসতে থাকে, কাশি হয়, চোখ চুলকায় এবং লাল হয়ে জল পড়ে৷ গায়ে, মুখে লালচে চুলকানিও বেরোয়৷ কারও কারও ক্ষেত্রে এই সব লক্ষণের একটি কার্যকর হয়, কেউ কেউ একাধিক সমস্যায় ভোগেন৷
কী খাবেন:
খাদ্যতালিকায় অবশ্যই প্রোবায়োটিক রাখুন: দই, ঘোল, ছানায় উপস্থিত প্রোবায়োটিক আপনার প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়৷ প্রতিরোধক্ষমতা যাঁদের বেশি, তাঁদের এই ধরনের সংক্রমণ খুব একটা কাবু করে ফেলতে পারে না৷
মধু: হাঁচি ও কাশিতে খুব কষ্ট পাচ্ছেন? তা হলে এক চাচামচ অরগ্যানিক মধু খেয়ে নিন৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই উপকার পাবেন৷ খুব কাশি হলে গরম জলে এক চাচামচ অরগ্যানিক মধু মিশিয়ে ছোট ছোট সিপে খেলেও গলায় আরাম হয়৷
গ্রিন টি: গ্রিন টিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন তৈরি হওয়া ঠেকিয়ে রাখতে পারে৷ অ্যালার্জির কারণে ফোলা, লালচেভাব, চুলকানিও কমায় গ্রিন টি-র প্রভাব৷ অনেকেরই বর্ষাকালে অ্যালার্জির সমস্য বাড়ে, সে সময়ে দিনে দু’ কাপ গ্রিন টি পান করলে অ্যালার্জি ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব৷
ইউক্যালিপটাস তেল: সাইনাসের সমস্যা ধুলোর কারণে আরও বাড়ে৷ যদি এক বড়ো বাটি গরম জলে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল ফেলে ১০ মিনিট ভাপ নিতে পারেন, তা হলে মুক্তি পাবেন নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যা থেকে৷ কমবে নাকের প্রদাহ৷
পিপারমিন্ট: এক কাপ গরম জলে এক মুঠো শুকনো পুদিনাপাতা দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে খানিকক্ষণ রাখুন৷ তার পর ছেঁকে পান করুন৷ কমবে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ও শ্বাসে অসুবিধের সমস্যা৷
ঘি: প্রচুর চুলকানি বেরিয়েছে গোটা গায়ে? তুলোর মধ্যে এক চামচ খাঁটি ঘি নিয়ে থুপে থুপে লাগিয়ে নিন তার উপর, জ্বালা কমবে৷ খুব হাঁচি হলেও কোয়ার্টার চাচামচ ঘি খেতে পারেন, আরাম পাবেন৷
সেই সঙ্গে ঘর-দোর পরিষ্কার রাখুন৷ মাস্ক পরে ঝাড়াঝুড়ির কাজ করবেন সব সময়ে৷ জানলার পরদা, বিছানার চাদর, বালিশের ঢাকা সপ্তাহে একদিন গরম জলে ধুয়ে নিন৷ অনেকের বিড়াল, কুকুর, পাখির লোম বা সফট টয়ের রোঁয়া থেকেও অ্যালার্জি হয়, সেগুলি থেকে দূরে থাকুন৷ বর্ষায় ঘরের মধ্যে জামাকাপড় শুকোতে দেবেন না৷