চাঁচল : মালদা জেলা জুড়ে বাড়ছে মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ। বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও। স্বাস্থ্য দপ্তর এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মত জেলার গুরুত্বপূর্ণ একটি হাসপাতাল চত্বরের চারিদিকে নোংরা আবর্জনার স্তূপ জমলেও নীরব দর্শক হয়ে থাকছে প্রশাসন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে মত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
হাসপাতালের ২ নং গেটের পাশেই জমেছে আবর্জনার স্তুপ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চিকিৎসায় ব্যবহারের নানান সরঞ্জাম। কোথাও আবার প্যাকেট ভর্তি আবর্জনা পচছে। কোথাও বাসা বেঁধেছে পোকামাকড়। দুর্গন্ধের মধ্যেই বাধ্য হয়ে হেঁটে যাচ্ছেন অনেকেই। তার পাশেই আউটডোরের ১ নং কাউন্টারে লম্বা লাইন। রোগীরা এই দুর্গন্ধেরর ফলে দুর্ভোগে পড়েন বলে অভিযোগ তাদের আত্মীয়দের। আউটডোরের লাইনে দাড়িয়ে থাকা রামনগরের রোগীর এক আত্মীয় বুধন বিবি জানান, রোগ নিরাময় করতে হাসপাতালে এসেই রোগাক্রান্ত হওয়ার জোগাড় হয়েছে। চাঁচল সুপার স্পেশাল্যাটি হাসপাতালের সহকারী সুপার ত্রিদিব মাইতি জানান, হাসপাতালেই আবর্জনা ফেলার স্থায়ী কোনো জায়গা নেই। প্রশাসনকে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে এক কিমি দূরে কৃষকবাজারে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’