উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অন্যায়ভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি এখনই বাতিল করা উচিত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিশেষ বেঞ্চের। সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি হয়। সেখানেই এই পর্যবেক্ষণ জানায় বেঞ্চ। আদালতের প্রশ্ন, ‘যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার কাজে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা একে একে জেলে গিয়েছেন। কিন্তু যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের কি চাকরি গিয়েছে?’
একইসঙ্গে বিশেষ বেঞ্চের মন্তব্য, শুধুমাত্র দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন বলেই অবৈধভাবে হওয়া নিয়োগ বৈধ হয়ে যায় না। বিচারপতিদের কথায়, ‘কে কত দিন কাজ করেছেন, সেটা বড় বিষয় না। মূল বিষয় হচ্ছে, নিয়োগ বৈধ কি না।’
চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আপাতত সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছে। ফলে যাঁদের চাকরি গিয়েছিল তাঁরা কার্যত ঝুলে রয়েছেন বলা যায়। মোদ্দা কথা, তাঁদের বিষয়টি সেই অবস্থাতেই রয়ে গিয়েছে।’ এ প্রসঙ্গেই বিকাশরঞ্জন আদালতে জানান, এখন স্কুল সার্ভিস কমিশনের সচিব ফের হলফনামা দিয়ে জানাচ্ছে তারা আরও ১৮৩ জনকে নবম-দশমে ভুল করে সুপারিশ পত্র দিয়েছিল।
এরপরই বিচারপতি বসাকের পর্যবেক্ষণ, ‘অন্যায়ভাবে যাঁরা সুযোগ পেয়েছেন তাঁদের চাকরি এখনই বাতিল হওয়া উচিত।’ জবাবে বিকাশরঞ্জন বলেন, ‘সেটাই করা হয়নি। যেকোন দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান তাই করে। এক্ষেত্রে এসএসসি সেটা করেনি। সম্পূর্ণ তালিকা দেয়নি। স্ক্যান করে বলেনি এতজন ভুলভাবে চাকরি পেয়েছে। প্রপার ডকুমেন্ট ছাড়া আইনজীবীদের বাদ দিয়ে নিজেরাই এটা করেছে।’