নাগরাকাটা: সাইকেলে রামযাত্রা (Ayodhya Ram Mandir) সেরে ১২ দিনের মাথায় লুকসানের বাড়িতে ফিরে এলেন ১৮ বছরের যুবক মানব বিশ্বাস। গত ৪ জানুয়ারি সে অযোধ্যার রামমন্দির দর্শনের জন্য রওনা দেয়। বাসে চেপে সোমবার বিকেলে বাড়ি ফেরার পর এলাকার বাসিন্দাদের কাছে কার্যত বীরের সম্মান পান মানব। তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দেন বাসিন্দারা। উলু ও শঙখ ধ্বনি সহ মিষ্টি মুখ করানো থেকে শুরু করে ওই যুবককে প্রণাম করতেও দেখা গিয়েছে অনেককেই। আবেগ বিহ্বল মানব বলছে, ‘আমার জীবনের স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকল। বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করছিল না। কিন্তু অযোধ্যাতে আপাতত থাকার অনুমতি নেই। তাঁর সাইকেলটি তিনি অযোধ্যার একটি ভবনে দান করে এসেছেন।‘
মানবদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না। অল্প বয়সেই পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে সে দিনমজুরের কাজে ঢোকে। যবে থেকে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয় তখন থেকেই সে মোবাইল ও সংবাদপত্র মারফৎ এব্যাপারে খোঁজ খবর রাখা শুরু করে। আগামী ২২ জানুয়ারি মন্দিরের উদ্বোধন। তার আগেই নিজের আকাঙখা পূরণে সাইকেলে সওয়ার হয়ে রামের কাছে পৌঁছোনোর পথ বেছে নিয়েছিল।
ওই যুবকের যাত্রাপথের খরচ যুগিয়েছে তার বন্ধুরা। বিহার, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে সে দারুণ আতিথেয়তা পেয়েছে বলে জানায়। কোথাও কোনও সমস্যা হয়নি। প্রতিদিন সাইকেল চালিয়েছে ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত। মা মালতী মণ্ডল বিশ্বাস বলেন, ছেলে খুব ছোট থেকেই রাম ভক্ত। মোবাইলে রামায়ন ও মহাভারত সব কিছুই দেখে ফেলেছে। ভগবান রামের স্তোত্রও ওর মুখস্থ। রামমন্দিরের নির্মাণ শুরু হওয়ার পর থেকে ধ্যান জ্ঞান ছিল শুধু সেদিকেই। ভাল মতো ফিরে আসায় প্রভু রামের কাছে চির ঋণী থাকলাম।