উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কমিশনের ভূমিকাতে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট। ৮০০ কোম্পানিরও বেশি বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দিলেও কমিশন কার্যত গরিমসিতেই সময় অতিবাহিত করেছে বলে মনে করছে প্রধান বিচারপতি টি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রিক্যুইজিশন না পাঠানোয় কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন আদালত জানায়, ‘আপনাদের কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে না আপনারা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার সদিচ্ছা আছে। আমরা কী করব? নির্বাচন কমিশনের দফতরটা সরোজিনী নায়ডু সরণি থেকে হাইকোর্টে নিয়ে চলে আসব কি?’ এদিন বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশের কথা ছিল আদালতের। সেই মতো ১৫ পাতার রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
আদালত কমিশনকে বলে, ‘আপনারা তো কাজের কাজ কিছু করছেন না। ৮ জুলাই সকাল বেলাও কি দেখছি, দেখব বলবেন?’ আদালত এদিন তাঁর পর্যবেক্ষনে জানিয়েছে, ভয়হীন পরিবেশে ভোট করানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। এ ব্যাপারে ২০০ শতাংশ সহযোগিতা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। যদিও ৮০০ কোম্পানির মধ্যে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী এলেও এখনও ৪৮৫ কোম্পানি আসা বাকি। তবে এদিনের শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে কমিশনের যা যা করা উচিত তা তারা করছে না। তা নিয়েও ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে কমিশনকে।