উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সংসার চালাতে মানুষকে কত কিছুই না করতে হয়। আজকাল স্নাতকোত্তর স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করেও চাকরি পাননা অনেকেই। পেটের দায়ে কখনও খুলে বসতে হয় মুদি কিংবা চায়ের দোকান আবার কখনও বা ফুচকার স্টল। আবার কখনও পাড়ি দেন ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে। এরকম দৃষ্টান্ত নেহাত কম নয়। তবে সম্প্রতি পঞ্জাবের একজন ব্যক্তির কথা প্রকাশ্যে এসেছে, যিনি কিনা চারটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। এমনকি একটি পিএইচডি ডিগ্রিও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তা সত্ত্বেও মেলেনি চাকরি। ফলে পেটের দায়ে ঠেলাগাড়িতে করে সবজি বিক্রি করে নিজের ও পরিবারের পেট ভরাচ্ছেন।
সাম্প্রতিককালে কলকাতায় অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে ‘এমএ চায়েওয়ালি’। এবার সামনে এল ‘পিএইচডি সবজিওয়ালা’। এই সবজিওয়ালার নাম ডক্টর সন্দীপ সিং(৩৯)। তিনি পঞ্জাবের বাসিন্দা। রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও জার্নালিজম সহ মোট চারটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং আইনের বিষয়ের ওপর পিএইচডি করেছেন। পঞ্জাবের পাতিয়ালার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১১ বছর আইন বিভাগে চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক হিসাবে কাজ করছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে বেতন অনিয়মিত হওয়ায়, চাকরি ছেড়ে দিয়ে সংসার চালাতে বাধ্য হয়েছেন সবজির ব্যবসায়। সকাল হলেই ডক্টর সন্দীপ ঠেলাগাড়িতে সবজির পসরা সাজিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়িতে বাড়িতে সবজি বিক্রি করতে। তাঁর ঠেলাগাড়িতে রয়েছে ‘পিএইচডি সবজি ওয়ালা’ লেখা একটি বোর্ড। সারাদিন সবজি বিক্রি করে সন্দীপের যা আয় হয় তাতে সংসার চলে যায়। সন্দীপের দাবি চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপনা করে যা রোজগার করেন তিনি, তাঁর চেয়েই বেশি আয় করেন সবজি বিক্রি করে। সন্দীপ এতটাই জ্ঞানপিপাসু যে এখনও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে নিজের পড়ানোর ‘প্যাশন’ কখনও ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর স্বপ্ন অধ্যাপক হওয়া। আর তা না হলে তিনি নিজের একটি কোচিং সেন্টার খুলবেন।