মাটিগাড়া: তিন মাস ধরে বন্ধ শিলিগুড়ি সংলগ্ন বাগডোগরার ত্রিহানা চা বাগান। বাগান খোলার দাবিতে সরব হয়েছেন শ্রমিকরা। ত্রিহানা বাগানের মূল ডিভিশন হল, জাবরা ও মোহনলাল ডিভিশন। সেগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের অভিযোগ, বাগান বন্ধ হওয়ার আগে শ্রমিক পিছু ২৪০ টাকা করে এককালীন ভাতা দেওয়া হত। কিন্তু তাতে অভাব মেটে না। তাই চা পাতা তোলা ছেড়ে এখন ব্যাংডুবিতে বালি-পাথর তুলছেন অনেকে। বাধ্য হয়ে টাকা ধার নিতে হচ্ছে অনেককে। কমবেশি সব পরিবারেরই প্রায় একই দশা।
মঙ্গলবার শ্রমিকদের হয়ে সুর চড়ান দার্জিলিং জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি নির্জল দে। তিনি বলেন, ‘তিন মাস থেকে বাগান বন্ধ। আমরা শ্রম দপ্তরকে বহুবার চিঠি দিয়েছি। তারাও বিষয়টি নিয়ে মিটিং ডেকেছিলেন। কিন্তু কোনও সুহারা হয়নি। পাশাপাশি শ্রমিকরা দুর্গাপুজার বোনাস পাননি এখনও। এমনকি ২০১৪ সালের পর শ্রমিকদের মজুরি থেকে পিএফ কাটা হচ্ছে। সেই টাকাও বাগান কতৃর্পক্ষ দিচ্ছেন না।’
এদিকে বাগান বন্ধের পেছনে নির্জল দেকেই দায়ী করেছেন নর্থ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুরজিৎ পাল। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি চক্রান্ত করে বাগান বন্ধ করেছে। এছাড়া কর্মীদের ওপর হামলার কারণে ত্রিহানা বাগান বন্ধ রয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি জানান, বাগান থেকে চা পাতা চুরি করে বাইরে বিক্রি করছেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। বাগানে চলছে তাঁদের দাদাগিরি। কবে খুলবে এই চা বাগান, এখন সেদিকেই তাকিয়ে শ্রমিকরা।