কিশনগঞ্জ: চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠল বিহারের পূর্ণিয়ায়। ঘটনাকে ঘিরে সোমবার সকালে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় ভবানীপুর গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বর। চালানো হয় ভাঙচুরও। মাথা ফেটেছে চিকিৎসকের। মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, এদিন ভোরে প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে ভবানীপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিলেন অঞ্জু দেবী নামে ভবানীপুরের এক মহিলা। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্তান প্রসব করেন তিনি। এরপর তাঁর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে পূর্ণিয়ায় রেফার করেন। কিন্তু পথে অ্যাম্বুল্যান্সেই অঞ্জু দেবীর মৃত্যু হয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এদিন সকালে ভবানীপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চড়াও হন তাঁর পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, তাঁরা হাসপাতালে ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালান। তাঁদের হাতে প্রহৃত হন ডাঃ আর এন সিনহা ও একজন কম্পাউন্ডার। ডাঃ সিনহার মাথা ফেটে যায়।
হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কোনওরকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। এরপর ধামদাহর মহকুমা শাসক রাজীব কুমার বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে সেখানে এসে বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক ও নার্সদের গাফিলতির জন্যই অঞ্জুর মৃত্যু হয়েছে। তবে ডাঃ সিনহা জানান, এদিন ভোরে ওই প্রসূতি সন্তানের জন্ম দেন। তারপরই প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে অন্যত্র রেফার করেন। কিন্তু রাস্তায় অ্যাম্বুল্যান্সে প্রসূতির মৃত্যু হয়। এরপরই মৃতার আত্নীয়-স্বজনরা হাসপাতালে চড়াও হন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, নবজাতক সুস্থ আছে।