উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আমাদের শরীরের ক্রিয়াকলাপ সঠিকভাবে চালনার জন্য বেশ কয়েকটি ভিটামিন ও পুষ্টির প্রয়োজন হয়। তাই শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হলে তা ছোট কিংবা বড় জটিলতার ইঙ্গিত হতে পারে। এরকমই একটি ভিটামিন বি১২, যা সুস্থ লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
দীর্ঘসময় ভিটামিন বি১২-র ঘাটতি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ফলে সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন নার্ভের ক্ষতি, হার্ট ফেলিওর এমনকি পেটের ক্যানসারও হতে পারে। তাই যে কোনও লক্ষণ দেখলে অবহেলা না করে সতর্ক হন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, যাতে দ্রুত রোগ শনাক্ত করা যায়।
এই ভিটামিনের অভাব হলে হাতে-পায়ে ঝিনঝিন ধরতে পারে। মনে হতে পারে যেন সুচ ফোটানো হচ্ছে। এমনটা ভিটামিন বি১২-র অভাবে স্নাযুর ক্ষতি বা স্নায়ু সঞ্চালনের সমস্যার জন্য হতে পারে। এছাড়া যেহেতু ভিটামিন বি১২ স্নায়বিক কার্যকলাপকে সমর্থন জোগায় তাই এর অভাব হলে ডিমেনশিয়াও হতে পারে। লোহিত রক্তকণিকা বিভাজন এবং সক্রিয় হওয়ার জন্য ভিটামিন বি১২ খুব জরুরি। এই লোহিত রক্তকণিকা সারা শরীরে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। কিন্তু ভিটামিনের অভাব হলে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার কাজেও ব্যাঘাত ঘটে। ফলে অবসাদ দেখা দেয়। এই অবস্থাকে বলা হয় মেগালোব্লাস্টিক অ্যানিমিয়া। অন্যান্য সমস্যার মধ্যে রয়েছে দ্রুত শ্বাস নেওয়া বা শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, বদহজম, খিদে কমে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, দৃষ্টিগত সমস্যা, দুর্বল বোধ, ডায়ারিয়া, লাল জিভ, দুর্বল স্মৃতিশক্তি, বোঝার ক্ষমতা এবং বিচার করার সমস্যা দেখা দেয়।
সুতরাং, ভিটামিন বি১২-র ঘাটতি মেটাতে পাতে রাখুন মাংস, মাছ, চিজ, ডিম এবং মাখন। অনেক ক্ষেত্রে ভিটামিন বি১২-র ঘাটতিতে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ডায়েটে বদল আনার পাশাপাশি চিকিৎসক ভিটামিন বি১২ সাপ্লিমেন্ট দিয়ে থাকেন। তবে এই ওষুধ আজীবন খেতে হয় না।