বিলাসপুর (ছত্তিশগড়): কোনও ব্যক্তির মোবাইল ফোনের কথোপকথন তাঁর অজান্তে রেকর্ড করা গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গের সমান, এমনই রায় দিয়েছে ছত্তিশগড় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, কারও মোবাইল ফোনের কথাবার্তা তাঁর অনুমতি ছাড়া রেকর্ড করা সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘনের সমান।
সূত্রের খবর, ফ্য়ামিলি কোর্টের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন এক মহিলা। তিনি খোরপোষের দাবিতে ফ্যামিলি কোর্টে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ২০১৯ সাল থেকে বকেয়া।
মহিলার স্বামী আদালতে আবেদন করেছিলেন যে মামলাকারীর আবেদন ফের যাচাই করা হোক। স্ত্রীর কথাবার্তা তিনি মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেছিলেন। তিনি সেটাকে প্রমাণ হিসেবে আদালতে হাজির করতে চেয়েছিলেন। স্বামী পারিবারিক আদালতে প্রমাণের চেষ্টা করছিলেন, তাঁর স্ত্রী ব্যভিচার করছে এবং তাই বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেলে তাকে ভরণপোষণ দিতে হবে না। ২০২২ সালের অক্টোবরে ফ্যামিলি কোর্ট এই আবেদনকে মান্যতা দিয়েছিল।
এরপর মহিলার আইনজীবী হাইকোর্টে জানান, ফ্যামিলি কোর্ট একটা ভুল করে ফেলেছে। কারণ এতে গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। মহিলার অজ্ঞাতে তাঁর ফোন কল রেকর্ড করা হয়েছিল। যেটাকে মহিলার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায় না।
এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি রাকেশ মোহন পান্ডে জানিয়েছেন, ফ্যামিলি কোর্ট বলছে কিছু কথাবার্তা স্বামী রেকর্ড করেছিলেন। কারণ তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ প্রমাণ করতে চাইছেন। কিন্তু মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বলা যায়, মহিলার অনুমতি ছাড়াই তাঁর কথা রেকর্ড করা হয়েছে। এটা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গের সমান। হাইকোর্ট ফ্যামিলি কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে।