উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আইপিএলে টানা তিনটি ম্যাচ জিতল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বুধবার বিশাখাপত্তনমে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১০৬ রানে হারিয়েছে কলকাতা। এদিন টসে জিতে ব্যাটিং সহায়ক পিচে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। প্রথমে ব্যাট করে শাহরুখ খানের দল ২০ ওভারে করে ২৭২ রান। জবাবে দিল্লির ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৬৬ রানে। এদিন মাঠে ব্যাটে ঝড় তুললেন কলকাতার নাইট রাইডার্সের নারাইন, রাসেল। দিল্লির বিরুদ্ধে বুধবার মোট ১৮টি ছক্কা মারেন কেকেআরের ব্যাটারেরা।
বিশাখাপত্তনমের মাঠে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেকেআরের অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। এদিন ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই পিটিয়ে খেলতে শুরু করেন নাইট রাইডার্সের সুনীল নারাইন। শুরু থেকে ছক্কা হাঁকাতে শুরু করেন। দু’বার তাঁর ব্যাটে বল লেগে উইকেটরক্ষক পন্থের হাতে ক্যাচ গিয়েছিল। কিন্তু দু’বারই শুনতে পাননি পন্থ। সেই দু’বার প্রাণ ফিরে পেয়ে ৩৯ বলে ৮৫ করে দিলেন নারাইন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে সাতটি চার এবং সাতটি ছক্কা। মিচেল মার্শের বলে শেষ পর্যন্ত পন্থের হাতে ক্যাচ দিয়েই আউট হয়ে যান নারাইন। কলকাতার অঙ্গকৃশ রঘুবংশী করলেন ৫৪ রান। দিল্লির ছেলে অঙ্গকৃশ। বুধবার সেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধেই করলেন অর্ধশতরান।
নারাইন এবং অঙ্গকৃশের পর দিল্লির বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করলেন আন্দ্রে রাসেল। ১৯ বলে ৪১ রান করলেন রাসেল। রিঙ্কু সিংহ ৮ বলে ২৬ রান করেন। তাঁদের ঝোড়ো ইনিংস কলকাতাকে ২৭২ রান তুলতে সাহায্য করে। দিল্লির বিরুদ্ধে বুধবার মোট ১৮টি ছক্কা মারেন কেকেআরের ব্যাটারেরা। ৪ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার এনরিখ নোখিয়ে। কাশ্মীরের পেসার রাসিখ সালাম তিন ওভারে ৪৭ রান দেন। বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদ ৪ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। ইশান্ত শর্মা ২ উইকেট নেন। কিন্তু তিনি ৩ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে দেন।
২৭৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট পড়তে থাকে দিল্লি ক্যাপিটালসের। শুরুতেই আউট হন পৃথ্বী শ। নাইট রাইডার্সের বৈভব আরোরা ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে দিল্লির ৩ উইকেট তুলে নেন। মিচেল স্টার্ক পেয়েছেন দু’টি উইকেট। হর্ষিত রানা চোট পাওয়ায় বল করতে পারেননি। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন বরুণ চক্রবর্তীও।
দিল্লির বাকি ব্যাটারেরা রান না পেলেও অধিনায়ক পন্থ ২৫ বলে ৫৫ রান করেন। তিনি আগের ম্যাচেও অর্ধশতরান করেছিলেন। পর পর দু’ম্যাচে অর্ধশতরান করলেন পন্থ। ট্রিস্টিয়ান স্টাবস ৩২ বলে ৫৪ রান করেন। তাঁরা ক্রিজ়ে থাকাকালীন তবুও জয়ের আশা দেখছিল দিল্লি। কিন্তু তা খুবই সাময়িক সময়ের জন্য।