উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশ্যে বিজেপি সাংসদের একটি ছবি। যা নিয়ে শুরু হল জোর জল্পনা। প্রয়াত কংগ্রেস নেতার স্মরণসভায় উপস্থিত বিজেপির বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আর এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই মঙ্গলবার সকাল থেকে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও বিজেপি সাংসদ একে রাজনৈতিক সৌজন্য বলে দাবি করলেও এই ছবি দেখে কটাক্ষ করে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী বলেন, ‘আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই ওর।’
সোমবার অর্থাৎ ২ অক্টোবর বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের সিহড় এলাকায় প্রয়াত কংগ্রেস নেতা তড়িৎ কুমার কোলের একটি স্মরণসভা ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত হন বিজেপি সাংসদ। প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক দেবু চট্টোপাধ্যায়ের পাশেই বসেছিলেন তিনি। রীতিমতো হেসে গল্পও করছিলেন। কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু বিধায়ক বছর ঘোরার আগেই যোগ দিয়েছিলেন তৃনমূলে। এরপর ২০১৪ সাল, তৃণমূলের টিকিটে বিষ্ণুপুর থেকে সাংসদ হন সৌমিত্র। কিন্তু ঘাসফুল শিবিরেও মন বসেনি সাংসদের। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের বদলালেন রাজনৈতিক শিবির। যোগ দিলেন বিজেপিতে। বিজেপিও তাঁকে বিষ্ণুপুর আসন থেকেই টিকিট দেয়। দ্বিতীয় বার সাংসদ হন সৌমিত্র।
এদিন সামাজিক মাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘তড়িৎ কুমার কোলে এলাকার প্রবাদপ্রতিম নেতা ছিলেন। আমার পরিবারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলাম। তার মধ্যে রাজনীতি খোঁজা ঠিক নয়। আর আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের সাংসদ। কংগ্রেসের মতো পুরোনো, ভাঙাচোরা দলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তৃণমূলের কোনও নেতার স্মরণসভা হলেও আমি তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে যেতাম। তৃণমূলের আসলে এখন মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই আমার নামে যা খুশি, তাই বলে চলেছে।’
এই ছবি দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য তথা সৌমিত্রের প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা। তিনি ব্যাঙ্গাত্মক সুরে বলেন, ‘খুব শীঘ্রই সেই দিন আসছে, যখন আর কোনও দলে জায়গা পাবে না। ওর ফেস লস হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করেছিল। এখন শুনছি, কংগ্রেসের মঞ্চে গিয়েছে। এক বার সিপিএমে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।’