উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় (Gaza) ইজরায়েল-হামাস সংঘর্ষ (Israel-Hamas War) অব্যাহত। তবে, এবার আক্রমণের ক্ষেত্রে নতুন পন্থা অবলম্বন করল ইজরায়েলি সেনা। চিকিৎসকের ছদ্মবেশে গাজার পশ্চিম তীরের একটি হাসপাতালে হামলা চালাল তাঁরা। এই ঘটনায় তিন হামাস (Hamas) জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে ইজরায়েলি সেনার সূত্রের খবর।
জানা গেছে, মঙ্গলবার পশ্চিম তীরের জেনিন (Jenin) শহরের ইবনে সিনা (Ibn Sina) হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ডাক্তার, নার্স ও হিজাব পরা মহিলাদের ছদ্মবেশে বেশ কিছু সশস্ত্র আইডিএফ (IDF) কমান্ডো হাসপাতালে প্রবেশ করে। এরপর সেখানে তিনজন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে তাঁরা আক্রমণ শানায়। তাঁদের দাবি, ওই তিনজনই ছিল হামাস জঙ্গি। হামলাকারীরা প্রত্যেকেই ডাক্তারের কোট (Doctor’s Coat) ও হাসপাতাল কর্মীদের (Staff) পোশাক পরে ছিল। অন্য আরেকটি ভিডিওতে আইডিএফ কমান্ডোদের এক ব্যক্তিকে ব্যক্তিকে থাপ্পড় দিতে দেখা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই, ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায় যে, ‘হামাস যোদ্ধা মহম্মদ জালামনেহ কে হত্যা করতেই এই হামলা চালানো হয়। সম্প্রতি সে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যোগ দিয়ে জেনিনের ইবনে সিনা হাসপাতালে লুকিয়ে ছিল।’
ইজরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী (National Security Minister) ইতামার বেন জিভির (Itamar Ben Gvir) এই গোপন অভিযানের প্রশংসা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় হামলার সিসিটিভি ফুটেজ শেয়ার করে এই অপারেশনকে ‘বীরত্বপূর্ণ’ (Heroic) বলে ইজরায়েলি সেনাদের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “ইজরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (Israel-Defence Forces) তাঁদের বীরত্বপূর্ণ কার্যকলাপের জন্য আমি অভিনন্দন জানাই। তিন সন্ত্রাসীকে আমরা নির্মূল করতে পেরেছি। আমাদের সমস্ত শত্রুকে জানতে দিন যে আমাদের বাহিনী সর্বত্র কাজ করবে এবং সব উপায়ে ইজরায়েলের নাগরিকদের রক্ষা করবে।”
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের ওপর হামলা চালায় হামাস গোষ্ঠী। একশোরও বেশি ইজরায়েলের বাসিন্দাদের পণবন্দি হিসাবে গাজ়ায় নিয়ে গিয়েছিল তারা। পরে অনেককে মুক্তি দিলেও এখনও বন্দি আছেন প্রচুর মানুষ।