উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ অশান্তির আবহে রাজ্যে সম্পন্ন হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন(West Bengal Panchayat Election 2023 Result)। নির্বাচনে প্রাণ গিয়েছে ৪০ জনের ওপরে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা। দুপুর পর্যন্ত বিজেপি-বাম-কংগ্রেসের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। বিরোধীদের দাবি, ভোটে সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল। এমনকী, গণনাকেন্দ্রেও অশান্তি পাকিয়েছে তৃণমূল। এই অশান্তির জন্য অনেকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে (Rajiva Sinha)। মঙ্গলবার রাজীব সিনহা বলেন, কয়েকটি ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্যকে বিবেচনা করা কখনই ঠিক নয়।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজীব সিনহা বলেন, ‘পুলিশ জানিয়েছে, ভোটের দিনে দশজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি যে মৃত্যুর খবর আসছে বা এসেছে সেটা পুলিশের সঙ্গে কমপ্লাই করতে হবে। দুই-তিনটি জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়েছিলাম। প্রতিটি ক্ষেত্রেই যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। কাউন্টিং সেন্টারের ডিটেইলিং করেছি গতকালকেই। এটা আগে হত না। আমাদের কমিটমেন্ট গণনা ভাল করে হোক। কোনও খবর পেলেই তার ব্যবস্থা নিয়েছি। কয়েকটি জেলা থেকে অভিযোগ এসেছে। তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে কেন্দ্রকেই দুষলেন রাজীব সিনহা। এদিন রাজীব সিনহা বলেন, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের ১০ হাজারের বেশি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতেই পারেনি সরকার। সাধারণ মানুষ এবং কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে ভোটের সময় অশান্তি কম হবে। বাহিনীর জন্য বাড়তি ভয় কাজ করবে। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করেছি। আমার মনে হয় না ১০ হাজারের বেশি বুথে ওরা বাহিনী দিতে পেরেছে।’’
এদিকে বিএসএফের অভিযোগ ছিল, তাদের বিস্তারিতভাবে নির্বাচন কমিশনারের জানানো হয়নি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা। এই প্রসঙ্গে রাজীব বলেন, ‘‘বিএসএফের পরিকল্পনায় স্পর্শকাতর বুথের কোনও গল্প ছিল না। জেলাভিত্তিক স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা আমরা জানিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম শুধু স্পর্শকাতর কেন, ডিএম এবং এসপির সঙ্গে কথা বলে প্রতি বুথেই বাহিনী দেওয়া হবে। বিএসএফ যদি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা না-ই পায়, তা হলে ওরা বুথগুলিতে বাহিনী দিল কী করে?’’
রাজীব জানান, কমিশন দায়বদ্ধ গোটা রাজ্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহনে। সেই অনুযায়ী সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ভোটের দিন যা যা অশান্তির খবর কমিশনের কাছে এসেছিল, তার ভিত্তিতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ইত্যাদি খতিয়ে দেখে ভোটের পর ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুনর্নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে।