রায়গঞ্জ: হামলার মুখ থেকে শাশুড়িকে বাঁচাতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন মহিলা। ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করায় এবার সেই দুষ্কৃতীদের হুমকির জেরে ভয়ে ঘরছাড়া ইটাহারের গৃহবধূ ও তাঁর শাশুড়ি। পাশের গ্রামে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন তিনি। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে জেলার পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট নাম ধরে অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের ১৮ তারিখ। দুপুর দেড়টা নাগাদ প্রতিবেশী গোলাম মর্তুজা, বিলকিস খাতুন রাস্তায় ধান শুকোচ্ছিলেন। সেইসময় রাহাতুনা বেগমের ছাগল ধান খেয়ে নেওয়ায় ছাগলটিকে মারধর শুরু করেন তাঁরা। বৃদ্ধা রাহাতুনা খাতুন প্রতিবাদ করলে তাঁকে লাথি, ঘুষি ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শাশুড়িকে বাঁচাতে গেলে তাঁর পুত্রবধূকে নগ্ন করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শাশুড়ি ও গৃহবধূ। গতকাল বাড়ি যাওয়ার পথে অভিযুক্ত গোলাম মর্তুজা একদল দুষ্কৃতী নিয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রাণভয়ে শ্বশুরবাড়ি না গিয়ে ঘরছাড়া রয়েছেন শাশুড়ি ও গৃহবধূ। ইটাহার থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এদিন গৃহবধূ জানান, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য দুষ্কৃতীরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তার জেরে শ্বশুরবাড়িতে যেতে সাহস পাচ্ছেন না বধূ। পাশের গ্রামে বাবার বাড়িতে রয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানানোর পরও দুষ্কৃতীরা, প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্তদের ধরছে না। এবিষয়ে ইটাহার থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।