অনসূয়া চৌধুরী, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) শিল্পসমিতিপাড়ায় রয়েছে বিজেপির (BJP) প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রয়াত সমরেন্দ্রপ্রসাদ বিশ্বাসের (জুপি) বাড়ি। বাড়িটি আজ জরাজীর্ণ, পরিত্যক্ত। সেখানে বিভিন্ন দুর্ঘটনা চোখের সামনে দেখে কোতোয়ালি থানায় (kotwali police station) গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু কোনওরকম সুরাহা না মেলায় স্থানীয়রা বুধবার ফের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারকে সঙ্গে নিয়ে মাস পিটিশন জমা দিলেন জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায়।
স্থানীয় বাসিন্দা তাপসী রায় বলেন, ‘২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর বড়সড়ো অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল এই বাড়িতে। এরপর জানুয়ারি মাসেও সেখানে একজনের মৃত্যু হয়। নেশার টাকা জোগাড় করতে প্রায়ই ইট থেকে বিভিন্ন জিনিস খুলে নিয়ে যায় অনেকে। ভয় হয় কখন যে কী ভেঙে পড়ে অঘটন ঘটে৷ আমরা চাই পুর প্রশাসন সহ জেলা প্রশাসন এবিষয়ে একটু নজর দিক।’ এলাকারই বনানী বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ওই গলিতে একটি ব্যাডমিন্টন সেন্টার রয়েছে। প্রতিনিয়ত বাচ্চারা আসে। তাছাড়া অনেক ফোটোশুটও হয় পরিত্যক্ত ওই বাড়িকে ঘিরে৷ পুরো বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী দুশ্চিন্তায় থাকেন।
এলাকাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার উত্তম বোস। কোতোয়ালি থানায় এসে তিনি বলেন, ‘নেশার পয়সা জোগাড় করতে ইট, দরজা থেকে যাবতীয় জিনিস ভেঙে নিয়ে যাচ্ছে কিছু লোক৷ এভাবে ভাঙতে ভাঙতে বাড়িটিতে আর কিছুই নেই। এভাবে একজন মারাও গেল। মৃত্যু কোনওভাবেই আমাদের কাছে কাম্য নয়৷ আমাদের একটাই দাবি, সরকার যদি নিজস্ব ক্ষমতাবলে কিছু ব্যবস্থা নেয়, তাহলে সকলেই বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন।’
উল্লেখ্য, বাড়িটি জঙ্গল সহ বট-পাকুড় গাছে ছেয়ে গিয়েছে। জানলা-দরজার কোনওরকম অস্তিত্ব নেই। জায়গায় জায়গায় চাঙড় খসে পড়ছে৷ বাড়িটির পেছনের অংশে দু-একটা ভাঙা ইট ছাড়া কিছুই নেই। এই মাস পিটিশন দেওয়ার পর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না, সেদিকে চেয়ে রয়েছেন স্থানীয়রা।