মানিকগঞ্জ: উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করেও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ঘুঘুডাঙ্গা সাহাপাড়া গ্রামের কৃতী ছাত্রী পৌলমি রায় সরকার। উচ্চমাধ্যমিকে পৌলমি ৯৪ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়েছে। মাধ্যমিকে সে পেয়েছিল ৯৭ শতাংশ। খারিজা বেরুবাড়ি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে ৪৭১ নম্বর পেয়েছে পৌলমি। বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯৮, ভূগোলে ৯৫, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৩, অর্থনীতিতে ৯৫ নম্বর পেয়েছে সে।
পৌলমির বাবা নিরঞ্জন রায় সরকার দিনমজুর। মা ষষ্ঠী রায় সরকার গৃহবধূ। রয়েছে সামান্য কৃষিজমি। সামর্থ্য না থাকায় সব বিষয়ে প্রাইভেট টিউটর রাখতে পারেনি পৌলমি। তবে মেয়ের পড়াশোনার মাঝে যাতে টাকা বাধা হয়ে না দাঁড়াতে পারে, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছেন তার অভিভাবকরা। তবে এবার উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিবন্ধকতাই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পৌলিমির ইচ্ছে প্রশাসক হওয়ার।
পৌলিমির মা ষষ্ঠী রায় সরকার বলেন, ‘মেয়ের উচ্চমাধ্যমিকের পড়াশোনার খরচের জন্য আড়াই বিঘে জমির মধ্যে আধ বিঘে জমি বন্ধক দিতে হয়েছে। তারপরও হালের বলদ বিক্রি করে টিউশন সহ যাতায়াতের খরচের জোগান দিতে হয়েছে।’ কিন্তু উচ্চমাধ্যমিকে এত ভালো ফল করা সত্ত্বেও কিভাবে মেয়ের উচ্চশিক্ষার টাকা জোগাবেন সেই দুশ্চিন্তাতেই রয়েছেন পৌলমির অভিভাবকরা।