পূর্ণেন্দু সরকার, জলপাইগুড়ি: বন্যা (Flood) নিয়ন্ত্রণের একাধিক ডিপিআরে অনুমোদন দিল রাজ্য সেচ দপ্তর। অনুমোদিত ১৬টি বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মধ্যে ১১টি উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জেলাগুলির জন্য। মালদা (Malda) থেকে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা পর্যন্ত মোট ২২ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে সেচ দপ্তর। এই অনুমোদনের ফলে নির্বাচনি বিধি চালু হলেও কাজ শুরু করতে কোনও বাধা থাকবে না। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে কলকাতার জলসম্পদ ভবনে বিভাগীয় স্ক্রিনিং কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গজলডোবায় ভোরের আলোকে রক্ষা করতে তিস্তায় গাইড বাঁধের কাজ ও কয়েকটি পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। প্রায় ২৮০ মিটার গাইড বাঁধের কাজের জন্য ৬ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার নাগরাকাটার খয়েরকাটায় বাঁধের সংস্কার ও ডায়না নদীর ডানদিকের বাঁধের প্রায় ২.৬ কিমি অংশ মেরামত ও মজবুত করা হবে। ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারির জলঢাকা নদীর বাঁ দিকের বাঁধের ১.০৫ কিমি অংশে বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ হবে। খরচ ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। ধূপগুড়ির গাদং ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বারোহোলিয়াতে ডুডুয়া নদীর ডানদিকের ৮০০ মিটার বাঁধের কাজে বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা।
বানারহাটের রেতি, সুখ রেইতি নদীর ৩ জায়গায় নদীবাঁধের ডানদিকে ৬৫০ মিটার এলাকায় বাঁধ মজবুত করতে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। মাল ব্লকের কুমলাই পঞ্চায়েতের মেচপাড়ায় চেল নদীর ডানদিকের বাঁধের ১৬৫ মিটার এলাকায় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে সেচ দপ্তর। খরচ ধরা হয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা। ময়নাগুড়ি ব্লকের বাকালির কাছে ধর্মপুরে তিস্তা নদীর বাঁ দিকের বাঁধে ৫টি স্পারের উন্নয়নে ১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার পারঙ্গেরপাড়ের ঝাড়বেলতলি ও বাগানবাড়ি এলাকায় মুজনাই নদীবাঁধের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে। এজন্য খরচ হবে ৭৭ লক্ষ টাকা।
কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ির কাছে মংলিবাড়িতে সানিয়াজান নদীর বাঁ দিকের ২০০ মিটার নদীবাঁধের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ২৩ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়েছে।
সেইসঙ্গে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতনগরের গোবড়াহাট এলাকায় ফুলহার নদীবাঁধের বাঁ দিকের ১.৩০ কিমি অংশ মজবুত করা হবে। মহানন্দা বাঁধ বিভাগের অধীনে এই প্রকল্পে খরচ হবে ২ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা।
এ বিষয়ে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ফোনে জানান, নির্বাচনি বিধিনিষেধ যাতে বন্যা নিয়ন্ত্রণের বড় প্রকল্পের কাজে কোনও বাধা না হয়ে দাঁড়ায় সেজন্য বৈঠক করে এই প্রকল্পগুলির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভোটের মধ্যে যাতে কাজ করতে সমস্যা না হয়, সে কারণে এই পদক্ষেপ।