জলপাইগুড়িঃ তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানের পালটা এবার ‘পালিশ হবে’ স্লোগান চালু করল বিজেপি। রবিবার ধূপগুড়িতে নরেন্দ্র মোদির সভাতেও এই স্লোগান শোনা গিয়েছিল। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নির্বাচনি প্রচারে ‘পালিশ হবে’ স্লোগানটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী। পাশাপাশি এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে কোন কোন স্টার ক্যাম্পেনার জেলায় আসতে চলেছেন, সেকথাও জানান বিজেপির জেলা সভাপতি।
রবিবার ধূপগুড়িতে ডাঃ জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে নির্বাচনি সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভাষণে জলপাইগুড়ি আসনের প্রতিটি বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের জামানত জব্দ করার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির সেই বক্তব্য বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে জেলার বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে। এদিন জলপাইগুড়িতে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে বাপি গোস্বামী বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে মোদির সভায় যোগ দিতে যাওয়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের অনেক দূরে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। ফলে বহুদূর থেকে সকলকে হেঁটে জনসভায় পৌঁছাতে হয়েছে। কিন্তু এসব করে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে জিততে পারবে না। তৃণমূল কংগ্রেস সব ক্ষেত্রেই ‘খেলা হবে’ বলে চিৎকার করে, এবার আমরা তার পালটা বলছি ‘পালিশ হবে’। এটা আমাদের নতুন স্লোগান।’ পালিশ হওয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাপি বলেন, ‘বাড়ির কাঠের আসবাবপত্র পুরোনো হয়ে গেলে পালিশ করতে হয়। পালিশের পর সেগুলি আবার চকচক করে।’ কিন্তু সেই পালিশের সঙ্গে এই স্লোগানের মিল কোথায় রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। ‘খেলা হবে’ কথাটির যেমন একাধিক অর্থ হতে পারে, তেমন এই ‘পালিশ হবে’ কথাটিও একাধিক অর্থ বহন করায় বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, ‘জলপাইগুড়ির পরিবেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ। এখানে বাপিবাবুর এই ধরনের স্লোগান কোনওভাবেই মানায় না। তবে ভোটের আগে এগুলি চমক ছাড়া কিছুই নয়। আমরা এগুলিকে গুরুত্ব দিচ্ছি না।’ অন্যদিকে নির্বাচনের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক জেলা স্তরের নেতা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাপি গোস্বামীর বক্তব্য, ‘অনেকেই আমাদের দলে যোগ দিতে চেয়ে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু আমরা সকলকে যোগদান করাচ্ছি না। যাঁদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, তাঁরাই বিজেপিতে স্থান পাবেন।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী ১০ এপ্রিল মালবাজার ও রাজগঞ্জ ব্লকের আমবাড়ি এলাকায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনি সভা করার কথা রয়েছে। এছাড়া নির্বাচনি প্রচারে যোগী আদিত্যনাথ, জেপি নাড্ডা এবং মিঠুন চক্রবর্তীও জলপাইগুড়িতে আসতে পারেন বলে তিনি জানান।