রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: চোখের চিকিৎসা করাতে এসে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) গৃহবধূ। প্রতারিত হয়ে চিকিৎসক এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে চিকিৎসার খরচ ফেরতের নির্দেশ দিল শিলিগুড়ি ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। ১ লক্ষ টাকা জরিমানা (Fine) করা হয়েছে দুই বিবাদী পক্ষকে। পাশাপাশি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের লিগ্যাল এইডের জন্য আরও ১০ হাজার টাকা জমা করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক অপূর্বকুমার ঘোষ। ২০১৪ সালের এই মামলায় এদিন রায় হওয়ায় খুশি গৃহবধূ শোভারানি শীলের পরিবার।
দ্বিতীয় অপারেশনের পর ডান চোখে পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তি হারান। পাশাপাশি ৬০ শতাংশ শ্রবণক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন শোভা। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে শোভার ৫০ শতাংশ বিকলাঙ্গ হওয়ার সার্টিফিকেট বের করে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় চিকিৎসকের পাশাপাশি নার্সিংহোমেও পার্টি করা হয়। সেই মামলার শুনানিতে এদিন দুই পক্ষের কথা শুনে বিচারক নার্সিংহোম ও চিকিৎসককে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। জলপাইগুড়ির পাটকাটা কলোনির বাসিন্দা শোভারানি শীলের ডান চোখে ব্যথা হত।
২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর তিনি শিলিগুড়ির (Siliguri) একটি নার্সিংহোমে যান। অভিযুক্ত চিকিৎসক সমস্ত পরীক্ষা করে অপারেশনের পরামর্শ দেন। ১২ ডিসেম্বর অপারেশন হয়। কিন্তু তারপরও সমস্যা মেটেনি। তিনি বিষয়টি কর্তব্যরত নার্সের মাধ্যমে চিকিৎসককে জানান। কিন্তু চিকিৎসককে ডাকা হলেও তিনি আসেননি বলে অভিযোগ। ১৩ তারিখ তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে ফিরে চোখে আরও ব্যথা বাড়তে থাকে।
ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি কমে আসে। শোভার বাড়ির লোক নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা ১৫ দিন বাদে রোগীকে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। ততদিনে পুরোপুরিভাবে দৃষ্টিশক্তি হারান শোভা। ১৫ দিন বাদে তিনি চিকিৎসা করাতে এলে চিকিৎসক ফের অপারেশনের কথা বলেন। ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার করা হয়।