বর্ধমানঃ পরণে ধপধপে সাদা পাঞ্জাবী। পুলিশের ঘেরাটোপে শুক্রবার তিনি উঠলেন পুলিশ গাড়িতে। একপ্রস্থ দেখে অনেকেই তখন মনে করেছিলেন সাদা চোস্তা পাঞ্জাবী পড়া ওই বৃদ্ধ কোন রাজনৈতিক দলের বলিষ্ঠ নেতা। তবে অবশ্য এই ধারণা বেশীক্ষণ স্থায়ী হয় নি। খানিক পরেই পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশের কাছ থেকে ওই বৃদ্ধর কুকীর্তির কথা জানতে পেরে সবাই স্তম্ভিত হয়ে যান।
কুকীর্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সত্তর বছর বয়সী ওই বৃদ্ধর নাম বিভাশ কোনার। পেশায় মদ ব্যবসায়ী এই বৃদ্ধর বাড়ি জামালপুরের হাটতলায়। সাত বছরের শিশুর উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগে জামালপুর থানার পুলিশ রবিবার ভোররাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতকে এদিনই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ এদিনই ধৃতকে পেশ করে বর্ধমান সিজেএম আদালতে।ধৃতকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার তাকে বর্ধমানের ’পকসো’ আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির বাড়ি জামালপুর থানার কাছেরই একটি গ্রামে। শিশুটির মামা শুক্রবার দুপুরে মাঠে আলু বসানোর কাজ করছিল। শিশুটি তার খেতমজুর মামাকে খাবার দিতে মাঠে যায়। মামাকে খাবার পৌঁছে দিয়ে শিশুটি মাঠে খেলছিল। অভিযোগ সেই সময় বিভাস এসে শিশুটিকে কোলে চাপিয়ে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে বিভাশ তার মোবাইলে থাকা অশ্লীল ছবি শিশুটিকে দেখায়। এরপর শিশুটির উপর বিভাশ যৌন নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ। বাড়ি ফিরে ঘটনার কথা শিশুটি তার মাকে জানায়। ঘটনার বিষয়ে ওইদিনই শিশুটির মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পকসো অ্যাক্টের ৬ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ অভিযুক্ত বিভাশ কোনারকে গ্রেপ্তার করে। ধপধপে সাদা চোস্তা পাঞ্জাবী পরিহিত বিভাশ আদালতে যাবার পথে দাবি করেন, তিনি নাকি কিছুই করেন নি।