উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ইডি-সিবিআই কেউ কিছু করবে না। এই শর্তেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথা বর্তমান তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি দাবি করেন, শুভেন্দু ঠিক কোন শর্তে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। গোটা ঘটনার সাক্ষী ছিলেন তিনি নিজে।
এদিন দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ ও জয়প্রকাশ মজুমদার। শুরু থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন জয়প্রকাশ। শুভেন্দুর দলত্যাগ নিয়ে জয়প্রকাশ দাবি করেন, তৃণমূলকে ভেঙে ফেলাই ছিল বিজেপির উদ্দেশ্য। এই কাজে তারা মুকুল রায়কে ব্যবহার করেছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে অমিত শার সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার নিজে। তার আগে দলবদল নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হলেও ওইদিনই দলবদল চূড়ান্ত হয়। জয়প্রকাশের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী বারবার প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আমার ব্যাপারটা ঠিক হয়ে গিয়েছে তো?’ কৈলাস বিজয়বর্গীয় আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ‘অমিতজি আছেন তো। কোনও চিন্তা নেই।’
জয়প্রকাশ বলেন, ‘শুভেন্দু জেল যাত্রা আটকানোর জন্য যে কোনও পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত ছিলেন। আর সেই শর্তেই বিজেপিতে যোগ।’ তাঁর দাবি, ৫ নভেম্বর কলকাতার হোটেলে চুক্তিপত্রে সই হয়। ওইদিন ঠিক হয়ে যায়, ইডি-সিবিআই কেউ শুভেন্দুর কিছু করবে না। এরপর ২৭ নভেম্বর মন্ত্রিত্ব ছাড়েন শুভেন্দু। ১৬ ডিসেম্বর ইস্তফা দেন বিধায়ক পদ থেকে। ১৯ ডিসেম্বর যোগ দেন বিজেপিতে। জয়প্রকাশের কথায়, ‘ঘটনাচক্রে আমার সৌভাগ্য হয়েছিল গোটা বিষয়টা সামনে থেকে দেখার। সেই কারণে আজ সবটা প্রকাশ্যে আনতে পারলাম।’
এদিন নারদার ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে নেন জয়প্রকাশ। তাঁর দাবি, নারদার ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি। যদিও দিল্লি থেকে নির্দেশ ও ভিডিও আসত। এমনকি, বিজেপির অফিস থেকেই শুভেন্দুর নারদার ভিডিও-ও জনসমক্ষে আনা হয়েছে।