উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রেমিকাকে জনসমক্ষে নৃংশভাবে খুন। ঘটনায় শিউড়ে উঠেছিল গোটা বাংলা।ঘটনার পর থেকেই পুলিশি হেফাজতে রয়েছে প্রেমিক। এবার সেই মামলার যবনিকা পতনের পালা। বুধবার রায়দান আদলতের।
ঘটনার বিবরণ দিতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে বছর দেড়েক আগে। ২০২২ সালের ২ মে।বহরমপুর গার্লস কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী।ঘটনার দিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের শহিদ সূর্য সেন রোড ধরে মেসে ফিরছিলেন সুতপা। তাকে অনুসরণ করতে থাকেন এক যুবক। সুতপা যখন নিজের মেসবাড়ির সামনে আসেন তখন তাকে এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে সেই যুবক। ঘটনায় হতবাক হয়ে যান উপস্থিত মানুষজন। চেষ্টা করেন সুতপাকে বাঁচাতে কিন্তু যুবকের হাতে বন্দুক থাকায় কাছে যেতে পারেননি কেউই। এই পুরো ঘটনা ক্যামেরাবন্দী করেন কয়েকজন। এরপর পুলিশ সিসিটিভির ও অন্যান্য সুত্র ধরে গ্রেপ্তার করে যুবককে। এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ পেতেই শিউড়ে উঠে গোটা বাংলা। প্রশ্ন ওঠে কেন এই হত্যাকান্ড? এর কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, সুতপাকে যিনি মেরেছেন তিনি তার প্রেমিক সুশান্ত। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল তাদের।সম্পর্কের অবনতি, সুশান্তের সঙ্গে সুতপার দূরত্ব তৈরি, এনিয়ে ক্ষোভ জমতে থাকায় সেদিন নৃংশভাবে খুন করেছিল সুশান্ত। এই ঘটনার ৭৫ দিনের মাথায় বহরমপুর আদালতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট জমা দিয়েছিল পুলিশ। অভিযুক্ত সুশান্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন)-সহ একাধিক ধারায় অভিযুক্ত সুশান্তের বিরুদ্ধে দাখিল হয় চার্জশিট। আদালতে জমা পড়ে ৩৮৩ পাতার চার্জশিট। তাতে বয়ান রয়েছে ৫৪ জন সাক্ষীর। সেই মামলার রায় আগামীকাল দেওয়ার কথা।তবে গোটা বহরমপুরবাসি চাইছেন কঠোর শাস্তি হোক সুশান্তের।