উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীর চাকরি নিজে না নিয়ে দিয়েছিলেন ছেলেকে। সেই ছেলেই মাকে দেখতে অস্বীকার করায় আদালতের দ্বারস্থ হলেন বৃদ্ধা। আর এজলাশে মায়ের কান্না শুনে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সেই ছেলেকেই তলব করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা ৬৭ বছররের সপ্না কর্মকার এদিন এসেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। স্বামী রবীন্দ্রনাথ কর্মকার কাজ করতেন কাঁচরাপাড়া রেল ওয়ার্কশপে। ২০০০ সালে স্বামীর মৃত্যু হয়। স্বপ্নাদেবী স্বামীর চাকরি ছেলে চিরদীপকে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
বাবার চাকরি পাওয়ার পরই ভোল বদলে ফেলে ছেলে। কাঁচরাপাড়া থেকে চলে যায় অন্যত্র। জানা গিয়েছে, মাসে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বেতন হলেও মায়ের দিকে ঘুরেও তাকায় না বড় ছেলে। সংসারে ছোট ভাই, ছোট বোনকে একবারের জন্যও দেখতে আসেনা কখনও। বৃদ্ধা জানিয়েছেন, টাকার অভাবে তাঁর চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসার প্রয়োজনে বড় ছেলের কাছে কিছু টাকাও চেয়েছিলেন বৃদ্ধা। কিন্তু ছেলে একটি পয়সা দিয়েও সাহায্য করেনি বলে দাবি মায়ের।
বৃদ্ধার মুখে হেনস্তার এই কাহিনী শুনে অবাক হয়ে যান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই এরপরই হাইকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল চৈতালী চট্টোপাধ্যায়কে মৌখিক নির্দেশ দিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১টার মধ্যে স্বপ্না কর্মকারের বড় ছেলে চিরদীপ কর্মকারকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। যদি ছেলে না আসে, তাহলে তাঁকে পুলিশ দিয়ে তুলে আনতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।