আলিপুরদুয়ার: চলতি মাস থেকেই এলএইচবি কোচে (লিংক হফম্যান বুশ) চলবে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। এতে যাত্রীসুরক্ষা অনেক সুনিশ্চিত হবে বলে দাবি রেল কর্তৃপক্ষের। ২৮ ফেব্রুয়ারি শিয়ালদা স্টেশন থেকে এলএইচবি(LHB) কোচযুক্ত কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস(Kanchankanya Express) আলিপুরদুয়ার জংশনের উদ্দেশে রওনা দেবে। পরের দিন ২৯ ফেব্রুয়ারি আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে কাঞ্চনকন্যা শিয়ালদার উদ্দেশে যাত্রা করবে বলে রেল সূত্রে খবর।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম(DRM) অমরজিৎ গৌতম জানান, এলএইচবি কোচে যাত্রীদের অনেক সুবিধা হয়ে থাকে। দুর্ঘটনাজনিত ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়। এছাড়াও উচ্চগতির ট্র্যাকে চলতে সক্ষম। রাজধানী সহ অন্যান্য দ্রুতগতির ট্রেনে এলএইচবি কোচ রয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এলএইচবি কোচগুলির বেশিরভাগ স্টেনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি হয়। ফলে দুর্ঘটনার সময় সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। আইসিএফ (ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি) কোচের তুলনায় এলএইচবি কোচের ভিতরের পরিসর বেশি। এছাড়া কোচে উচ্চগতিতে দক্ষ ব্রেকিংয়ের জন্য একটি উন্নত বায়ুসংক্রান্ত ডিস্ক ব্রেক সিস্টেম রয়েছে। ফলে এলএইচবি কোচগুলি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়ে থাকে। অপরদিকে আইসিএফ (ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি) কিন্তু পুরোনো কোচ। এর গতি ১১০ কিলোমিটারের মধ্যে। তবে এলএইচবি কোচ অবশ্য উন্নত ট্র্যাকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন ও ১৩০ কিলোমিটার গতির ট্র্যাকে এলএইচবি কোচ উপযুক্ত।
বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস দোমোহনিতে দুর্ঘটনার পর কাঞ্চনকন্যা ও উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস সহ তিস্তা-তোর্ষা এক্সপ্রেসে এলএইচবি কোচের দাবি উঠেছিল। তারপর উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফেও এইসব ট্রেনে এলএইচবি কোচের দাবি করার কথা জানিয়েছিল। অবশেষে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে ১৯ কোচের এলএইচবি কোচ যুক্ত হতে চলেছে।
ইতিপূর্বে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে মহানন্দা এক্সপ্রেসে এলএইচবি কোচ যুক্ত করা হয়। তবে পূর্ব রেলের কাঞ্চনকন্যার মতো ট্রেনে এলএইচবি কোচ যুক্ত না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল। কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে এলএইচবি যুক্ত হওয়ার কথায় বিশিষ্টজনেরা সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে পরবর্তীতে পূর্ব রেলের অন্যান্য ট্রেনেও এলএইচবি কোচের দাবি উঠেছে।