তিরুবনন্তপুরম: কেরল বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত্যু হল ১২ বছরের এক কিশোরীর। মেডিকেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৯৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩। আহত ৫০ জন চিকিৎসাধীন। যাঁর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রসঙ্গত, রবিবার কেরলের এর্নাকুলামে কালামাসেরি এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রার্থনা চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে প্রথমে মৃত্যু হয় এক মহিলার। এদিন প্রাণ হারান আরও এক মহিলা ও কিশোরী। এই ঘটনার জেরে দিল্লি, মুম্বই ও উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক জায়গায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে সরকার। বিস্ফোরণের কিছুক্ষণের মধ্যে দায় স্বীকার করে এক ব্যক্তি ত্রিশূরের থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
কেরল পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে কনভেনশান সেন্টারে আইইডি বিস্ফোরণের প্রমাণ মিলেছে। কেন্দ্রের তরফে এই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ’কে দেওয়া হয়। এরপরই চার সদস্যের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। কনভেনশন সেন্টার থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে প্রায় ২ হাজার মানুষের জমায়েত ছিল। রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সেখানে। গতকাল বিস্ফোরণের পর কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্র।