রায়গঞ্জঃ জোর করে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে। প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনল কিশোরী। শুধু তাই নয় দীর্ঘ প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কোনও রকমে পালিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা ওই কিশোরী। অভিযোগ দায়ের হতেই অভিযুক্ত যুবক গিরি দেবশর্মা ও তার বাবা শরৎ দেবশর্মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুর গ্রামে। নির্যাতিতা কিশোরীর অভিযোগের অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের রায়গঞ্জ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্ত প্রেমিককে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গিয়েছে, ২২ দিন আগে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেনি নির্যাতিতা কিশোরী। তার খোঁজ না পেয়ে কালিয়াগঞ্জ থানায় কিশোরীর পরিবারের তরফ থেকে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার হঠাৎ ওই কিশোরী বাড়ি ফিরে আসে। মঙ্গলবার ওই কিশোরীকে নিয়ে পুলিশের দারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, গিরি দেবশর্মা নামে এক যুবক ওই কিশোরীকে রাস্তা থেকে মুখে কাপড় বেঁধে তুলে নিয়ে যায় অন্য একটি গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে কিশোরীর আগে থেকে পরিচয় ছিল। সেখানে তাকে ভয় দেখিয়ে আটকে রাখা হয়। তারপর পুরোহিত ডেকে তাকে জোর করে বিয়ে করে অভিযুক্ত যুবক। কিন্তু বিয়ের পর কিশোরীকে একটি ঘরে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এরপর সুযোগ বুঝে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ওই কিশোরী। কিশোরীর বাবার দাবি, মেয়েকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করেছে বলে মেয়ের কাছে জানতে পেরেছি। এরপর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্ত যুবক গিরি দেবশর্মা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে গিরি দেবশর্মা ও তার বাবা শরৎ দেবশর্মাকে।
রায়গঞ্জ জেলা আদালতের (পকসো) সরকারি আইনজীবী শেখর পাল বলেন, অভিযুক্ত যুবকের ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অভিযুক্তের বাবাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন।