উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভোটের দিনে জঙ্গলমহলে দাপট দেখিয়েছে কুড়মিরা। বহু জায়গাতেই দেখা যায়নি তৃণমূল বুথ ক্যাম্প, এজেন্টও। জঙ্গলমহলের ভোটে এ বার অন্য মাত্রা এনেছে কুড়মিদের আন্দোলন। একচেটিয়া ভোট করালেন এই আদিবাসী সম্প্রদায়। কোনও কোনও জায়গায় দেখা গিয়েছে বিজেপির সঙ্গে সমঝোতার চিত্রও।
জঙ্গলমহলের ৩ জেলা ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর। জঙ্গলমহলের এই ৩ জেলায় কিছু এলাকায় শনিবার ভোটে কুড়মিদের দাপট গিয়েছে। বহু বুথে এজেন্টই দিতে পারেনি তৃণমূল। এমনকি বহু জায়গাতেই দেখা যায়নি তৃণমূল বুথ ক্যাম্প। নয়াগ্রামের চাঁদাবিলা পঞ্চায়েতের নারদা বুথে দেখা গেল বিজেপির সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতার চিত্র। বিজেপির মণ্ডল সহ-সভাপতি তথা অঞ্চল প্রমুখ প্রভাত মাহাতো বলেন, ‘‘এখানে অন্য ব্যাপার আছে। বিজেপি প্রার্থী থাকলেও ভোট সমাজেরই হবে।’’এই বুথের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল মাহাতোর স্বীকারোক্তি, ‘‘সমাজের দাপটে বুথ ক্যাম্পও করতে পারিনি।’’তাই এই বুথে জয় একপ্রকার নিশ্চিত কুড়মি প্রার্থী দেবাশিস মাহাতোর।
এদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, কুড়মিরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি থেকে এনে নিজেদের ভোট নিশ্চিত করতে গরাম থানে ঠাকুর রেখে শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছে জোর করে। যাতে তাঁরা অন্যদের ভোট দিতে না পারে। যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কুড়মি নেতা প্রনব মাহাতো। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ গরাম ঠাকুরকে ভালবাসে। নয়াগ্রাম ব্লকের পুখুরিয়া, রাইশোল-সহ একাধিক জায়গাতেই গরাম থানে প্রণাম করে শপথ নিয়ে ভোট দিয়েছেন কুড়মিরা।”
ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘‘কুড়মিরা গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছেন। তবে অনেকে আমাদের সঙ্গেও আছেন। ঝাড়গ্রাম লাগোয়া রাধানগর পঞ্চায়েতের মাটিহানা বুথও ঘিরে রেখেছিল ‘জয় গরাম’ বাহিনী। এখানেও তৃণমূল বুথ এজেন্ট দিতে পারেনি। পুরুলিয়ার কুড়মি এলাকাতেও কোণঠাসা ছিল তৃণমূল। পুরুলিয়া-২ ব্লকের ডুমুরডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে শুধু দুই নির্দল প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন। একই ছবি ছিল বান্দোয়ান, সুপুডি, কুচিয়া পঞ্চায়েতের একাধিক ভোটকেন্দ্রে।