চোপড়া: ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে নেতৃত্বের চাহিদামাফিক ‘দো শো’ পার করতে না পারায় চোপড়ায় বিজেপির কার্যালয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছিলেন স্থানীয় নেতা-কর্মী, সমর্থকরা। প্রায় আড়াই বছর হতে চলল সেখানে একদিনও এক-আধজন দলীয় কর্মীরও দেখা মেলেনি। দীর্ঘদিন অব্যবহারে সেই কার্যালয় এখন আস্তাকুঁড়ের চেহারা নিয়েছে। চেয়ার-টেবিল কিছুই নেই। ছাদের টিন খসে পড়ছে। অথচ গত বিধানসভা ভোটের আগেও এখানে দিনভর স্থানীয় নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ভিড় গমগম করত। আগের ভোটগুলিতে এখানে বসেই ছকা হয়েছিল বিজেপির রণকৌশল। কিন্তু গত দু’-আড়াই বছরে কার্যালয় চত্বর কার্যত ডাস্টবিন তৈরি হয়েছে। এলাকাবাসী এখানে যাবতীয় আবর্জনা ফেলে যাচ্ছেন। ফলে, ছড়াচ্ছে দূষণ। বাড়ছে কীটপতঙ্গ।
চোপড়া সদরের সর্বত্র সপ্তাহে একদিন করে আবর্জনা সাফাই হলেও এখানে সমানে জমছে আবর্জনা। এব্যাপারে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অসীম বর্মন বলেন, ‘সদর চোপড়ায় দলীয় কার্যালয় সংস্কারের ভাবনা আছে। কিন্তু আর্থিক সংকটে করা সম্ভব হয় হচ্ছে না।’ দলের জেলা সম্পাদক ভবেশ কর বলেন, ‘এবার লোকসভা ভোট ঘিরে চোপড়া বিধানসভা ক্ষেত্রের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই নির্বাচনি কার্যালয় খোলা শুরু হয়েছে। ব্লক কার্যালয়টি সম্পূর্ণ সংস্কার প্রয়োজন। সেজন্য দেরি হচ্ছে।’
কার্যালয়টির এমন হাল প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, গত বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হতেই তৃণমূল এলাকার আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে। সেসময় অনেকেই ঘরছাড়া ছিলেন। তখনই এই কার্যালয়ে হামলা হয়েছিল। পাশেই গুদরি বাজারে বহু দোকানে দিনদুপুরে লুটপাট হয়। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য একথা অস্বীকার করেছে। দলের চোপড়া ব্লক সভাপতি প্রীতিরঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘এখানে বিজেপির কোনও সংগঠনই নেই। তাই হয়তো ওদের কার্যালয়ের দরকার পড়ে না। দলীয় কার্যালয় সংস্কারে বাধা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ইতিমধ্যে বিজেপির বহু গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ অনেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই, এখন আর ওদের কোনও সংগঠন বলে কিছু নেই। একটা ঘর মাসের পর মাস অব্যবহৃত হয়ে পড়ে থাকলে আবর্জনা তো জমবেই। ওদের কার্যালয় ফেলে রাখবে না ব্যবহার করবে সেটা ওদের বিষয়।